শরিফুল, দ্য হ্যাটট্রিক ম্যান

২০২৩ সাল জুড়ে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। তিন ফরম্যাটেই বল হাতে বছরের সেরা পারফরমারদের একজন ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও তাই তাঁর উপর ভরসা রেখেছিল দুর্দান্ত ঢাকা, সেই ভরসার প্রতিদান দিতে বিন্দুমাত্র বিলম্ব হয়নি এই তরুণের। আসরের শুরুটা দারুণভাবেই করলেন তিনি।

আসরের উদ্বোধনী ম্যাচেই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেলেন শরিফুল। ফিরিয়েছেন খুশদিল শাহ, রস্টন চেজ আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে। সবমিলিয়ে চার ওভার বল করে মাত্র ২৭ রান দিয়েছেন তিনি, তাঁর এমন নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কল্যাণেই ১৪৩ রানে বিধ্বংসী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে আটকে দিতে পেরেছে ঢাকা।

টসে জিতে বোলিং নেয়ার পর ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এই বাঁ-হাতিকে আক্রমণে নিয়ে আসেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। প্রথম সুযোগেই দুই ওপেনার লিটন দাস আর ইমরুল কায়েসের পরীক্ষা নেন তিনি। উইকেট না পেলেও একাধিকবার পরাস্ত করেন তাঁদের, এবং সেই ওভারে মাত্র দুই রান খরচ করেন।

দশম ওভারে আবার বল হাতে নেন এই পেসার, এবার দেন পাঁচ রান। ডেথ ওভারেও বল করেছেন তিনি, কিন্তু তাঁর তৃতীয় ওভারে আট রানের বেশি নিতে পারেননি দুই সেট ব্যাটার ইমরুল এবং তাওহীদ হৃদয়।

তবে শরিফুল নিজের সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলেন শেষের জন্য। সেই ওভারের প্রথম বলে কোন রান নিতে পারেননি খুশদিল, পরের দুই বলে অবশ্য দুই ছয় হাঁকিয়ে ভাল কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটাই বোধহয় ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল টাইগার তারকার মনে; তাই তো পরের তিন ডেলিভারিতে তিন তিনজন ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি।

জাতীয় দলের জার্সিতে যেমন আগুন ঝরাচ্ছেন পঞ্চগড়ের এই ক্রিকেটার, তেমনি বিপিএলেও দেখালেন নিজের সামর্থ্য – এবার অবশ্য টুর্নামেন্ট জুড়ে ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে তাঁকে; রাজধানী ঢাকা অন্তত সেটাই দেখতে চাইবে তাঁর কাছে। কেননা দলটির স্কোয়াড বিবেচনায় শরিফুল-তাসকিনরাই সবচেয়ে বড় সম্পদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link