এ কারণেই শুভমানে আস্থা

সবসময় আগ্রাসনই শেষ কথা নয়। মাঝেমধ্যে থিতু হওয়া, ইনিংস বড় করা, বিপদের সময়ে দাঁড়িয়ে থেকে হাল ধরবার দায়িত্ব নিতে হয়। ঠিক সে কারণেই সম্ভবত শুভমান গিল ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের প্রথম পছন্দ। তার উপর থাকা দলের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি।

ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা হয়নি শুভমান গিলের। চারিদিকে তখন শোরগোল উঠেছিল, গিলকে হয়ত ভাবনায় রাখছে না ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু সময়ের অন্যতম সম্ভাবনাকে পরিকল্পনার বাইরে রাখার বিশেষ তো কোন কারণ নেই। তাইতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে ডাক পান তিনি।

যদিও ওপেনার হিসেবে অভিষেক শর্মা জিম্বাবুয়ে সিরিজেই দুর্দান্ত করেছিলেন ভারতের জার্সি গায়ে। তবুও শুভমানের উপর আস্থা রেখেছিল ভারত। আস্থার গভীরতা ঠিক কতটুকু তা সহজেই আন্দাজ করে নেওয়া যায়, কেননা তাকে যে টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এই আস্থার প্রতিদান তিনি বেশ ভালভাবেই দিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। এর আগেই অবশ্য সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছিল টিম ইন্ডিয়া। শেষ ম্যাচটা জিতে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইট ওয়াশ করতে চেয়েছিল হয়ত সুরিয়াকুমার যাদবের দল। তবে বৃষ্টির কারণে বদলে যায় সমস্ত দৃশ্যপট।

পাল্লেকেলের উইকেট বনে যায় বোলিং ট্র্যাক। যেখানে দাঁড়িয়ে রান তুলতে হিমশিম খেয়েছে ভারতের ব্যাটাররা। দিশেহারা হয়ে উইকেটও হারিয়েছে তারা। দলীয় ১৪ রানের মাথায় তিন উইকেট হারায় ভারত। এরপরও ক্রমাগত উইকেটের পতন ঘটেছে আরেক প্রান্তে। লংকান বোলাররা রীতিমত কোণঠাসা করে ফেলেছিল ভারতকে।

তেমন এক পরিস্থিতিতে, লড়াইয়ের পুঁজি সন্ধান করেছেন শুভমান গিল। আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝে দাঁড়িয়ে ৩৯ রান করেছেন। ৩৭ বলের এই ইনিংসটি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সাথে মানানসই নয়। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় শুভমানের এই ইনিংসটি ভারতকে মোটামুটি একটা সংগ্রহের পথ গড়ে দিয়েছে।

প্রয়োজনের মুহূর্তে হাল ধরার কাজটা করতে পারেন শুভমান। ঠিক এ কারণেই ভারত দলে প্রাধান্য পেয়ে থাকেন তিনি। আবার প্রয়োজন পড়লে আক্রমণাত্মক শুভমানেরও দেখা পাওয়া যায়। তাইতো তাকে দলের সহ-অধিনায়ক করে গড়ে তোলা হচ্ছে আগামীর অধিনায়ক হিসেবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link