আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ২৬ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ দলের বিশেষ ক্যাম্প। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত মৌসুম কাটানোরর পরও ২৬ জনের সেই ক্যাম্পে ব্রাত্যই থেকেছিলেন এনামুল হক বিজয়, নুরুল হাসান সোহান ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
এ নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে আক্ষেপও ঝড়েছিল সৈকত, সোহানদের কণ্ঠে।অবশেষে তাদের সেই আক্ষেপ ঘুচতে যাচ্ছে। জানা গেছে, বিশেষ এই ক্যাম্পে অবশেষে সুযোগ পাচ্ছেন এ তিন ক্রিকেটার।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন, ‘আমরা আরও কয়েকজনকে অন্তর্ভুক্ত করেছি। কাল থেকে ওরাও সাদা বলের দলের সাথে অনুশীলন করবে।’
বিজয়, সোহান, সৈকতদের যুক্ত করার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘২৬ জনের যে স্কোয়াড দেওয়া হয়েছিল তা কোনো দল নয়। আমরা সবাইকেই পরখ করতে চাচ্ছি। সবাই আমাদের বিবেচনায় আছে। আপাতত লাল বল ও সাদা বলের আলাদা অনুশীলন চলছে। যাদের নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে ওরা কাল থেকে অনুশীলন করবে।’
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের সর্বশেষ মৌসুমে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ ম্যাচে ৮৩৪ রান করেছিলেন এনামুল হক বিজয়। ৫৯.৫৭ ব্যাটিং গড়ে এ ব্যাটার ডিপিএলের এ আসর রাঙিয়েছিলেন তিন হাফ সেঞ্চুরি আর তিন সেঞ্চুরিতে।
এবারের ডিপিএলে আবাহনীর শিরোপা জয়ের পথে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ব্যাট হাতে ৩৯৫ রানের পাশাপাশি বল হাতে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন এ অলরাউন্ডার।
তবে, অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যের পরও বিসিবির ২৬ জনের স্কোয়াডে প্রথমে ঠাই হয়নি মোসাদ্দেকের। এ নিয়ে কিছুটা আক্ষেপও ঝেড়েছিলেন এ ক্রিকেটার। অবশেষে মোসাদ্দেকের সেই আক্ষেপ ঘুচতে চাচ্ছে বাংলাদেশ টাইগার্সে তাঁর অন্তর্ভুক্তিতে।
মোসাদ্দেকের মতো সর্বশেষ ডিপিএলে ব্যাট হাতে পারফর্ম করেছিলেন সোহানও। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে ১৫ ম্যাচে ৪৬.৪৫ ব্যাটিং গড়ে ৫১১ রান করেছিলেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
তারপরও বিসিবি ঘোষিত ২৬ জনের ক্যাম্পে ছিলেন উপেক্ষিত। অবশ্য এবার জানা গেল, সাদা বলের ক্যাম্পে যুক্ত হচ্ছেন নুরুল হাসান সোহান। মানে, বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় তাঁদের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।