কখনও মিঠুনরাও পারেন

হারের বৃত্তে ঘুরতে থাকা একটি দল। টুর্নামেন্ট থেকে তাঁদের বিদায়টাও ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এমন একটা দল কী আর চাইতে পারে? কিছু ব্যক্তিগত পারফর্মেন্স কিংবা একটা সান্ত্বনার জয়। ঢাকা ডোমিনেটর্সকে সেই পারফরম্যান্স ও জয় দুটিই এনে দিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। তাঁর নিজেরও হয়তো এই বিপিএলে কিছু একটা প্রাপ্তি হল।

বিপিএলে প্রথম ম্যাচটা জয় দিয়ে শুরু করেছিল ঢাকা ডোমিনেটর্স। এরপর থেকে দলটার দুর্দশা দেখে কে। একটা জয় যেন সোনার হরিণ তাঁদের জন্য। তবে দলটার অধিনায়ক নাসির হোসেন নিয়মিতই পারফর্ম করে যাচ্ছিলেন। ব্যাট, বল দুই ডিপার্টমেন্টেই ফিরে আসার আভাস দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

তাঁর সাথে টুর্নামেন্ট জুড়ে ঢাকার হয়ে পারফর্ম করেছেন তাসকিন আহমেদ। তবে এরপর আর দলটার হয়ে কেউ পারফর্ম করতে পারেননি। ফলে একেরপর এক ম্যাচ হারতে হয়েছে ঢাকাকে। আজ তাঁদের ম্যাচ ছিল বরিশালের বিপক্ষে। টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী দল। মাঠে সাকিবদের হারানো যেন প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আর সেই অসম্ভবটাকেই সম্ভব করলো বিপিএলের সবচেয়ে জং ধরা দলটা। ঢাকার ব্যাটিং লাইন আপের অন্যতম ভরসা ছিলেন সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন। তবে পুরো আসর জুড়ে এই দুজনের ব্যাট যেন কথাই বলছিল না। এই দুজনের অফ ফর্মই সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে দলটাকে।

তবে টুর্নামেন্টের একেবারে শেষ পথে এসে এই দুজনের ব্যাট হাসলো একসাথে। ফরচুন বরিশালের হয়ে আজ ওপেন করতে নেমেছিলেন এই দুজন। জিততে হলে সিলেটের মাটিতে ঢাকাকে করতে হত ১৫৭ রান। সিলেটে দিনের ম্যাচে যে টার্গেট খুব সহজ কিছু না।

তবে এই টার্গেটকে মামুলি বানিয়ে ফেললেন সৌম্য আর মিঠুন মিলেই। ব্যাট করতে নেমে দুজনে মিলে এনে দিলেন উড়ন্ত শুরু। সৌম্যর সাথে আজ ওপেন করতে নেমেছিলেন মিঠুন। আর ওপেনিং জুটিতে তাঁরা যোগ করলেন ৭৪ রান। তাঁদের এই উড়ন্ত শুরুতেই ঢাকার জয় মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়।

শুরুতেই বরিশালের বোলারদের উপর চড়াও হয়েছিলেন সৌম্য সরকার। এই ব্যাটার ২২ বল থেকে করেছেন ৩৭ রান। ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১৭০ স্ট্রাইকরেটে। তবে সৌম্য ফিরে গেলেও ঢাকাকে জয়ের পথে নিয়ে যেতে থাকেন মোহাম্মদ মিঠুন। লম্বা সময় রানের দেখা না পাওয়া মিঠুন আজ তুলে নিয়েছেন এই আসরে নিজের প্রথম অর্ধশতক।

মিঠুন ৩৬ বল থেকে করেছেন ৫৪ রান। ব্যাটিং করেছেন ১৫০ স্ট্রাইকরেটে। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৬ টি চার ও ৩ টি ছয়। এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরা আগেই নিশ্চিত করেছেন দলের জয়। এই অর্ধশতক যেন অনেক বেশি স্বস্তির এই ব্যাটের জন্য।

ওদিকে ঢাকার হয়ে আজ বিপিএলে অভিষেক হয়েছে আবদুল্লাহ আল মামুনের। প্রতিভাবান এই ব্যাটারও খেলেছেন ২১ বলে ২৬ রানের ইনিংস। আর অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গিয়েছেন অধিনায়ক নাসির হোসেন।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link