হারের কারণ জানালেন শানাকা

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বলা হয় অনিশ্চয়তার খেলা। ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে বড় দলগুলোকে চমকে দেওয়ার ঘটনা হরহামেশাই দেখা যায়।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বলা হয় অনিশ্চয়তার খেলা। ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে বড় দলগুলোকে চমকে দেওয়ার ঘটনা হরহামেশাই দেখা যায়। ২০০৭ বিশ্বকাপে রিকি পন্টিংয়ের সর্বজয়ী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে জিম্বাবুয়ের বিজয় উল্লাস কিংবা ২০১৪ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডকে ৮৮ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে নেদারল্যান্ডসের মহাক্যাবিক জয় অথবা ২০১৬ বিশ্ব টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়ন হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওই আসরে পুঁচকে আফগানিস্তানের কাছে ৬ রানে হারের মত ম্যাচগুলো জানিয়ে দেয় বিশ্বকাপের মঞ্চে বিশ্বসেরাদের চমকে দেয়ার সুদীর্ঘ এক ইতিহাস আছে ছোট দল গুলোর।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটল আরেকবার। সদ্য এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আকাশে উড়তে থাকা শ্রীলঙ্কাকে মাটিতে নামালো আইসিসির সহযোগী দেশ নামিবিয়া। ২০২২ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫৫ রানে হারালো আফ্রিকার এই দেশটি।

ম্যাচ শেষে লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রেস কনফারেন্সে নিজের হতাশা প্রকাশ করেন। শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক বলেন, ‘ম্যাচ যে কেউ হারতে পারে। ম্যাচ হারা কোনো সমস্যা নয় তবে যে পদ্ধতিতে আমরা আজকের ম্যাচে খেললাম তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন আমি।’

১৫ ওভারে ৯৫ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা নামিবিয়া শেষ পাঁচ ওভারে জ্যান ফ্র্যাইলিংক ও জেজে স্মিট এর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৬৮ রান যোগ করে ১৬৪ রানের টার্গেট দেয় শ্রীলঙ্কাকে। নিজেদের শেষ পাঁচ ওভারের বোলিং নিয়ে হতাশ ছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক।

তিনি বলেন, ‘১৫ তম ওভারে ওরা ছয় উইকেট হারানোর পর আমাদের সুযোগ ছিল নামিবিয়াকে ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলার। কিন্তু পেসারদের লাইন লেংথ ছাড়া বোলিংয়ে তারা ম্যাচে ফিরে আসে। আমাদের বোলাররা ইয়র্কার করতে গিয়ে প্রচুর ফুল টস বল দিয়ে ফেলেছে যার ফায়দা তারা নিয়েছে। আমাদের বোলারদের উচিত ছিল হার্ড লেংথে স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প বল করে যাওয়া যে কাজটা নামিবিয়ার বোলাররা খুব সফলভাবেই করেছে।’

৫৫ রানের হারে শ্রীলঙ্কার এখন বাকি দুই ম্যাচ জেতার পাশাপাশি রান রেটের দিকেও নজর রাখতে হবে। গ্রুপ পর্ব পেরোতে হলে ১৮ ও ২০ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাত আর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিততেই হবে। হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় মোটামুটি নিশ্চিতই বলা চলে লঙ্কান সিংহদের।

তবে, সমর্থকদের জন্য আশার খবর এই পরিস্থিতিতে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় তা ভালোই জানে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা-ভানুকা রাজাপাকসেরা। আফগানিস্তানের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে এশিয়া কাপ শুরু করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গল্প তো খুব বেশি দিন আগের নয়।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...