১৭০ রানেই ম্যাচ জয়ের পরিকল্পনা!

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিং মানসিকতার সমালোচনা হয় দেশীয় সমর্থক থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটবোদ্ধা সমগ্র ক্রিকেটমহলেই। টাইগারদের ব্যাটিংয়ের সময় ভয় পাওয়ার মানসিকতা ও যথাযথ পাওয়ার হিটারের অভাব মূলত ছোট এই ফরম্যাটে প্রতিপক্ষ থেকে পিছিয়ে রাখে।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিং মানসিকতার সমালোচনা হয় দেশীয় সমর্থক থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটবোদ্ধা সমগ্র ক্রিকেটমহলেই। টাইগারদের ব্যাটিংয়ের সময় ভয় পাওয়ার মানসিকতা ও যথাযথ পাওয়ার হিটারের অভাব মূলত ছোট এই ফরম্যাটে প্রতিপক্ষ থেকে পিছিয়ে রাখে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেখানে ১৮০/২০০ হরহামেশাই হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ এই রানের দেখা পাচ্ছে কালেভদ্রে। দু:খজনক হলেও সত্যি ব্যাটাররা উইকেট অনুযায়ী রান করতে না পারায় অনেক সময় বোলাররা ভাল বোলিং করেও রানের অভাবে হারতে হচ্ছে ম্যাচ।

বিশ্বকাপের আগে আবারও আলোচনা বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে। সদ্য শেষ হওয়া নিউজিল্যান্ড ত্রিদেশীয় সিরিজের একটি ম্যাচেও ১৮০ রানের স্কোর গড়তে পারেননি ব্যাটাররা। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮০ পার করার সুবর্ণ সুযোগ থাকলেও লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৭৩ করেই খুশি থাকতে হয় সাকিব বাহিনীকে। ফলে অতিরিক্ত ১০/১৫ রানের আক্ষেপে ম্যাচ হেরে যায় সাকিব আল হাসানরা।

তবে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে ম্যাচ হারছে বাংলাদেশ তা মানতে নারাজ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের আগে ঐচ্ছিক অনুশীলন শেষে এই নিয়ে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না ম্যাচ জেতার জন্য ২০০ আবশ্যিক স্কোর। আমরা যদি ১৭০ কিংবা ১৮০ করতে পারি তা আমাদের ম্যাচ জেতানোর জন্য যথেষ্ট । ১৭০ করলেই আমরা যথেষ্ট খুশি থাকবো। আপনি যদি বিগব্যাশের স্কোরকার্ড দেখে থাকেন তাহলেই আমার কথায় যথার্থতা খুঁজে পাবেন। এখানে ২০০ রান খুব কমই হয়।’

শেষ কয়েক ম্যাচে ফিনিশিংয়ে দুর্বলতা নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান কোচ বলেন, ‘আমরা ইনিংসের শেষ দিকের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছি।ব্যাটসম্যানরা শেষের দিকে কিভাবে দ্রুত রান তুলতে পারে তা নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করা হচ্ছে। আশা করি ব্যাটসম্যানরা বিশ্বকাপে ভাল খেলে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে।’

ত্রিদেশীয় সিরিজের পর বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল থেকে সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে বাদ দিয়ে সৌম্য সরকার ও শরিফুল ইসলামকে দলে ডাকা হয়। এ নিয়েও কথা বলেন জেমি সিডন্স, ‘আমাদের হাতে থাকা ১৭ জন খেলোয়াড় থেকে ১৫ জনকে দলে রাখতে হত এবং আমরা দলের জন্য উপযুক্তদেরই বেছে নিয়েছি। সামনে দুইটা ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ আছে, আশা করি ওই দুই ম্যাচে প্রত্যেকে তাদের সেরা ফর্মে ফিরবে।’

বিশ্বকাপের মূল পর্বের জন্য একাদশও প্রায় গুছিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দল নির্বাচন প্রায় চূড়ান্ত। শেষ দুই ম্যাচের ব্যাটিং দেখেই ওই অনুযায়ী লাইনআপ সাজাবো আমরা।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...