কুশল মেন্ডিস, কখনও শক্ত – কখনও নম্র!

বৃষ্টি-বিঘ্নিত ৪৭ ওভারের ম্যাচে লঙ্কানদের ২১০ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হয়তো সহজ জয়ের কথাই ভেবেছিল স্বাগতিকরা, কিন্তু তাঁদের কাজ কঠিন করে দেয় কিউই স্পিন বিভাগ। শুরুটা করেছিলেন মিচেল স্যান্টনার, দলীয় ২৩ রানের মাথায় ফেরান আভিষ্কা ফার্নান্দোকে। এরপরই দৃশ্যপটে হাজির হন ব্রেসওয়েল।

শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড ম্যাচটা নেমে এসেছিল কুশল মেন্ডিস এবং মিচেল ব্রেসওয়েলের দ্বন্দ্ব যুদ্ধে। দুই দলের হয়ে বলতে গেলে তাঁরা দু’জনেই খেলেছেন, লড়াই করেছেন। তবে বাস্তবতার নিষ্ঠুরতায় একজনকে হার মানতেই হলো, প্রাণপণে লড়েও শেষমেশ মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়লেন ব্রেসওয়েল। অন্যদিকে, দলকে রোমাঞ্চকর একটা জয় এনে দিলেন মেন্ডিস।

বৃষ্টি-বিঘ্নিত ৪৭ ওভারের ম্যাচে লঙ্কানদের ২১০ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হয়তো সহজ জয়ের কথাই ভেবেছিল স্বাগতিকরা, কিন্তু তাঁদের কাজ কঠিন করে দেয় কিউই স্পিন বিভাগ। শুরুটা করেছিলেন মিচেল স্যান্টনার, দলীয় ২৩ রানের মাথায় ফেরান আভিষ্কা ফার্নান্দোকে। এরপরই দৃশ্যপটে হাজির হন ব্রেসওয়েল।

টানা দুই ওভারে দুই উইকেট আর খানিক বিরতি দিয়ে আরো একটা – চোখের পলকে নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন। তবে কুশল মেন্ডিস ছিলেন লঙ্কা দ্বীপের ত্রাতা হয়ে, একপ্রান্ত আগলে তিনি হাল ধরে রেখেছিলেন জাহাজের।

ব্রেসওয়েল, স্যান্টনার তো ছিলেনই; সাথে যোগ হয়েছিলেন গ্লেন ফিলিপস, ইশ সোধিরাও। তবু টলানো যায়নি তাঁকে, ধৈর্য এবং গেম সেন্সের অগ্নি পরীক্ষায় লেটার মার্কস সহ পাশ করেছেন এই ব্যাটার – ৮৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করাটা অন্তত সেই কথাই বলে। একেবারে জয় নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত এভাবেই ব্যাট করে গিয়েছেন তিনি, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৭৪ রানে।

আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত ১৪৩ রানের দুর্ধর্ষ এক ইনিংস খেলেছিলেন এই ডান-হাতি, সেই আত্মবিশ্বাসে ভর করে আরো একবার করলেন ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স। সিরিজ শুরুর আগে পরিসংখ্যান বিবেচনায় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ড ছিল তাঁর দুঃস্বপ্ন, অথচ এখন তাঁরাই বনে গেল তাঁর প্রিয় প্রতিপক্ষ।

অবশ্য এই তারকার উজ্জ্বলতায় পুরোপুরি আড়ালে পড়ে গিয়েছেন মিচেল ব্রেসওয়েল। দশ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৬ রানের বিনিময়ে চার উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি, তবু ট্র্যাজিক হিরো হয়েই থাকতে হলো। যদিও ব্ল্যাকক্যাপস ইতিহাসে লঙ্কানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার এখন তাঁর দখলে। কিন্তু তাতে বোধহয় ম্যাচ হারের আক্ষেপ মিটবে না।

Share via
Copy link