ছক্কায় শুরু ওয়ানডে ক্যারিয়ার

ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে অভিষেক ম্যাচে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড খুব একটা দীর্ঘ নয়। আবার আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে রানের খাতা ছক্কা দিয়ে খোলার রেকর্ডও সীমিত।

যেকোন অভিষেকই রোমাঞ্চকর। ক্রিকেটের মঞ্চে তা মর্যাদার। দীর্ঘ অপেক্ষার পর পাওয়া সুযোগ বাড়িয়ে দেয় স্নায়ুচাপ। তবে কিছু কিছু খেলোয়াড় সেই স্নায়ুচাপকে উড়িয়ে দিতে পারেন এক লহমায়। নিজেদের প্রথম বলে ব্যাট হাতে জানান দেন অস্বিত্বের।

ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে অভিষেক ম্যাচে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড খুব একটা দীর্ঘ নয়। আবার আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে রানের খাতা ছক্কা দিয়ে খোলার রেকর্ডও সীমিত। সংক্ষিপ্ত সেই দুই রেকর্ডে আবার দুইজন বাংলাদেশী ব্যাটারও ঠাই পাচ্ছেন। ছোট্ট সেই তালিকা নিয়েই আজ হাজির খেলা-৭১।

  • জাওয়াদ দাউদ (কানাডা)

নিজের অভিষেক ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পাননি জাওয়াদ দাউদ। কানাডার হয়ে ক্যারিয়ারে খেলেছেন মোটে দুইটি ম্যাচ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং করেছিলেন আট নম্বরে। সেটাই কার্যত এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের অভিষেক ম্যাচ হিসেবে গণ্য হতে পারে।

 

ব্যাটিং করতে নেমেই তিনি প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান। আফগান বোলার সামিউল্লাহ শেনওয়ারির করা বলটা মাঠ ছাড়া করেন তিনি। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ছক্কা দিয়ে রানের খাতা খোলেন জাওয়াদ দাউদ।

  • রিচার্ড এনগারাভা (জিম্বাবুয়ে)

রিচার্ড এনগারাভা মূলত একজন বা-হাতি পেসার। স্বাভাবিকভাবেই তার প্রধান দায়িত্ব বল হাতে। নিজের অভিষেক ম্যাচে তাই ব্যাট করবার সুযোগ হয়নি তার। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে বাইশ গজে হাজির হয়েছিলেন রিচার্ড এনগারাভা।

মোহাম্মদ নবী তখন বোলিং প্রান্তে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম বল মোকাবেলা করতেও প্রস্তুত এনগারাভা। ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে লং অফ দিয়ে দারুণ এক ছক্কা হাঁকান রিচার্ড। তাতে অবশ্য ম্যাচের ভাগ্য বদলায়নি। হারতেই হয়েছে জিম্বাবুয়েকে।

  • ঈশান কিষাণ (ভারত)

প্রচলিত আছে নিজের অভিষেক ম্যাচের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানোর বাজি ধরেছিলেন ঈশান কিষাণ। আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর। ব্যাট হাতে বাইশ গজে নামার আগেই নিজের ইচ্ছের কথা জানান সতীর্থদের। ম্যাচের পরিস্থিতি যাই হোক, প্রথম বলেই হাকাবেন ছক্কা। করেছেনও তাই।

তার অভিষেক হয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তিন নম্বর ব্যাটার হিসেবে ব্যাট করতে নামেন ঈশান। বোলার ছিলেন শ্রীলঙ্কার ধনাঞ্জয় ডি সিলভা। সামনে এগিয়ে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা আদায় করে নেন ঈশান। সেই ম্যাচে অর্ধশতক করে দলের জয়েও রেখেছিলেন অবদান।

  • শামীম হোসেন পাটোয়ারি (বাংলাদেশ)

‘হার্ডহিটার’ এই তকমা নিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণ করেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। তবে ধারাবাহিকতার বড্ড অভাবের কারণেই ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল বিলম্বিত। এই বছরে হওয়া এশিয়া কাপে অভিষেক হয় তার।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলার সুযোগ পান। ব্যাট হাতে দ্রুত কিছু রান তোলাই ছিল তার দায়িত্ব। রানের খাতা খোলেন তিনি ছক্কা দিয়ে। গুলবাদিন নাইবের বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগ অঞ্চল দিয়ে ছক্কা হাঁকান শামীম। বেশ সাবলীলভাবেই তিনি সেই বলে সর্বোচ্চ রানটুকুই আদায় করে নেন।

  • রিশাদ হোসেন (বাংলাদেশ)

বহুদিন ধরেই দলের সাথে রিশাদ হোসেন। তবে সুযোগ মেলেনি খুব একটা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজের দলে ছিলেন। তার ওয়ানডে অভিষেক হয় সেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে খানিকটা স্নায়ুচাপে ভুগছিলেন রিশাদ।

তবে ব্যাট হাতে ছক্কা হাঁকিয়ে সেই স্নায়ুচাপকে দূরে ঠেলে দেন এই লেগি। অ্যাডাম মিলনের করা বলটা সোজা মিডউইকেট দিয়ে বাউন্ডারির ওপারে নিয়ে ফেলেন রিশাদ। এরপর উজ্জ্বল এক হাসিতে স্বস্তির জানান দেন। ক্যারিয়ারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকানো তো আর চাট্টিখানি কথা নয়।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...