দলের স্বার্থ না ব্যক্তিগত মাইলফলক!

ঘটনা হচ্ছে, ম্যাচ পরিস্থিতি আজকের অস্ট্রেলিয়া ও সেদিনের ভারত, প্রায় একই ছিল। তাহলে একটি ক্ষেত্রে দলের সেরা ব্যাটসম্যানকে ডাবল সেঞ্চুরি করতে দেওয়া হলো, আরেক ক্ষেত্রে হলো না। এবং দুটোকেই একইসাথে জাস্টিফাই করা যায় কি?

অস্ট্রেলিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে রানের পাহাড় খাড়া করে ইনিংস ঘোষণা করে দেয় ৫৯৮/৪ রানের মাথায়।

স্টিভেন স্মিথ ২০০ রানে অপরাজিত থাকেন, তার আগে মার্নাস ২০৪ রানে আউট হন। ট্রাভিস হেড ৯৯ রানের মাথায় আউট হতেই ইনিংস ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া।

আরও পড়ুন

আচ্ছা এই যে স্মিথ ২০০ করলো, হেড ১০০ করা অবধি অপেক্ষা করছিলো, ৯৯ এ আউট হতে ডিক্লেয়ার দিল, এগুলোকে রেকর্ডের জন্যে খেলা বলা হবে না, তাই তো? কই স্মিথ তো ১৯০* তে থাকাকালীন বা হেড ৯৫* থাকাকালীন অস্ট্রেলিয়ার মতো দল আগে ব্যক্তি পরে নীতিতে বিশ্বাসী দল ডিক্লেয়ার দিল না কেন?

তাহলে শচীন টেন্ডুলকার ১৯৪ রানে অপরাজিত থাকাকালীন রাহুল দ্রাবিড় যখন ডিক্লেয়ার দিয়েছিলেন, সেটাকে দলের স্বার্থে বলা হয়েছিল এবং এখনো অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন শচীন স্লো খেলছিলেন এবং ডিক্লেয়ার দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। দল আগে, ব্যক্তি নয় এই বার্তা দেবার জন্যে।

যদিও, ভারত ম্যাচটি একদিন বাকি থাকতে জিতে যায়, যার ফলে আর ৬ কেন, আরো ৬০ রান করার মতো সময় ও হাতে ছিল।

দলীয় রান রেট নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই কেননা বীরেন্দ্র সেটা অনেক উপরে তুলে দিয়ে গেছিলেন, এবং বর্তমানে ইংল্যান্ড যেখানে ৭৫ ওভারে ৫০৬ করছে, সেখানে আজকের রান রেট এর সাথে আঠেরো বছর আগের রান রেট তুলনা করা উচিত নয় হয়তো।

ঘটনা হচ্ছে, ম্যাচ পরিস্থিতি আজকের অস্ট্রেলিয়া ও সেদিনের ভারত, প্রায় একই ছিল। তাহলে একটি ক্ষেত্রে দলের সেরা ব্যাটসম্যানকে ডাবল সেঞ্চুরি করতে দেওয়া হলো, আরেক ক্ষেত্রে হলো না। এবং দুটোকেই একইসাথে জাস্টিফাই করা যায় কি?

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...