জাভি রদ্রিগেজের কাছ থেকে বলটা নিয়েই কাটব্যাক করেন হুগো আলভারেজ। চোখের পলকে ডান পায়ের শটে বার্সেলোনার জাল কাঁপিয়ে দেন তিনি। স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো কাতালান সাম্রাজ্য, বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে যায় মাঠের ফুটবলাররাও। ২-০ গোল থেকে স্রেফ দুই মিনিটের ব্যবধান স্কোরলাইন হয়ে যায় ২-২!
আলভারেজ গোল করার মিনিট খানেক আগেই তো বার্সাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন আলফন গঞ্জালেজ। রাইটব্যাক জুলস কুন্দের ভুলে বল পেয়ে যান গঞ্জালেজ, ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে এক গোল শোধ করেন তিনি।
তখনি বোঝা উচিত ছিল হ্যান্স ফ্লিকের, কিন্তু কিছু বোঝার সময় আর পেলেন কই। এর আগেই আসে আলভারেজের আঘাত। এর মধ্য দিয়ে ছন্দপতন ঘটলো বার্সেলোনার, উড়তে থাকা দলটাকে বাস্তবতা বুঝিয়ে দিলো সেল্টা ভিগো। দুই গোলের লিড পেয়েও ম্যাচ জিততে ব্যর্থ হয়েছে ব্লাউগানা জার্সিধারীরা, শেষ মুহূর্তের ঝড়ে মূল্যবান এক পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
অথচ শুরুটা কি দুর্দান্তভাবেই না করেছে বার্সেলোনা। ইনফর্ম রাফিনহা আরো একবার দলকে এনে দিয়েছিলেন উড়ন্ত সূচনা। একেবারে একক প্রচেষ্টায়, মার্কারকে মাটিতে ফেলে গোল আদায় করে নেন তিনি। এরপর চেষ্টা চালিয়ে গেলেও প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। তবে ৬১ মিনিটের সময় পুনরায় স্কোরবোর্ডে পরিবর্তন আসে, ডিফেন্স লাইনের ভুল কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি।
এতদূর পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিল, জয়ও প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল লা লিগার টেবিল টপারদের। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে মার্ক ক্যাসাদোকে নিয়ে, ৮২ মিনিটের সময় লাল কার্ড হজম করে বসেন তিনি। তারপরই মূলত সফরকারীদের চাপে ফেলে দেয় সেল্টা, আর সেই চাপের সুবাদে ব্যাক টু ব্যাক গোলও পেয়ে যায় দলটি।
অবশ্য এখনো টেবিলে সবার উপরেই আছে বার্সেলোনা, কিন্তু শীর্ষস্থান একটু হলেও নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদের হাতে বাড়তি দুই ম্যাচ আছে, এই দুই ম্যাচে জিতলে দু’দলের ব্যবধান হবে মাত্র এক পয়েন্ট।