‘ডোমিঙ্গোকে বলির পাঁঠা বানানো ঠিক হবে না’

‘আমাদের রাসেলকে বলির পাঁঠা বানানো উচিত নয়। আমাদের ভাল খারাপের জন্য কোচকে পুরোপুরি দায়বদ্ধ করা উচিত নয়। তিনি একটি বড় দলের কোচও ছিলেন। তার প্রচেষ্টাতে কোনও ত্রুটি ছিল না। সম্ভবত তিনি দুর্ভাগা ছিলেন। এরকম আগেও হয়েছে। কোন সিদ্বান্ত নেওয়ার জন্য এটা যথেষ্ট সময় নয়।’

বাংলাদেশের টানা ব্যর্থতার পর দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে বিস্তর। এমনকি ধারণা করা হচ্ছে বরখাস্তও হতে পারেন তিনি। তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজে দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন রাসেলকে বলির পাঁঠা বানানো ঠিক হবে না।

ঘরের মাঠে খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে টেস্ট সিরিজে হোয়াটওয়াশ হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডে গিয়েও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ ড্র করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজ হেরেছে তামিম মুশফিকরা।

এর আগে ভারত ও পাকিস্তানের সাথেও বাজে ভেবে হেরেছে বাংলাদেশ। আর রাসেল ডোমিঙ্গো দায়িত্ব নেওয়ার পর তো ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের সাথে টেস্টে বিধ্বস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। সুজন মনে করেন দল হারলেও কোচের প্রচেষ্টার কমতি ছিল না। এই বোর্ড পরিচালক ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন ব্যর্থতা বা সাফল্যের জন্য কোচরা পুরোপুরি দায়ী নয়।

তিনি বলেন, ‘আমাদের রাসেলকে বলির পাঁঠা বানানো উচিত নয়। আমাদের ভাল খারাপের জন্য কোচকে পুরোপুরি দায়বদ্ধ করা উচিত নয়। তিনি একটি বড় দলের কোচও ছিলেন। তার প্রচেষ্টাতে কোনও ত্রুটি ছিল না। সম্ভবত তিনি দুর্ভাগা ছিলেন। এরকম আগেও হয়েছে। কোন সিদ্বান্ত নেওয়ার জন্য এটা যথেষ্ট সময় নয়। আমি তার সাথে মাত্র একটি সিরিজে কাজ করেছি এবং আমি এটিই বলতে পারি যে তিনি চেষ্টা করছেন।’

জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক আরো বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে যে কোচরা ব্যর্থতা বা সাফল্যের জন্য পুরোপুরি দায়ী নয়। কারণ শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটারদেরই খেলতে হয় এবং একটি বিষয় আমাদের বুঝতে হবে যে কোচকে একা দোষ দেওয়ার কোন মানে নেই বরং আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। যাতে আমরা খেলাটাকে এগিয়ে নিতে পারি।’

বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার আগে রাসেল ডোমিঙ্গো নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় কাজ করেছেন। সুজন মনে করেন সেখানকার কাজের ধরণ আর বাংলাদেশের কাজের ধরণ এক নয়। সুজন জানিয়েছেন বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে ক্রিকেটারদের তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে বারবার জানিয়ে দিতে হয়। যেটা অন্য দেশে হয়না।

সুজন বলেন, ‘সে দক্ষিণ আফ্রিকায় কাজ করছে না। বাংলাদেশে কাজ ভিন্ন ভাবে হয়। আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতি অনুযায়ী আমাদের ছেলেদের ড্রেসিংরুম বারবার তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে মনে করিয়ে দিতে হয়। শীর্ষস্থানীয় অন্য ক্রিকেট দেশ গুলোতে এটি করতে হয়না। তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। তাদের বলে দিতে হয়না কি করতে হবে।’

তাই বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে রাসেল ডোমিঙ্গোকে সব কিছু জানিয়ে দিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি মনে করেন ডোমিঙ্গোর ও বুঝতে হবে এবং পরিকল্পনার বিষয়ে ক্রিকেটারদের জানাতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি এটা ডোমিঙ্গোকে বলে দিয়েছি। সম্পর্ক হতে সময় লাগে। তবে আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট সম্পর্কে যা জানি সেটা তাকে জানিয়েছি। পরিকল্পনার বিষয়ে আমাদের ছেলেদের জানাতে হবে। এবং কি করা উচিৎ এটার ব্যাখ্যা করতে হবে। ডোমিঙ্গোর বুঝতে হবে এটা।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...