‘করোনো তো আগে এতো ছিলোই না’

যখন আমরা এই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তখন ভারতে করোনা পরিস্থিতি এমন ছিল না। সুতরাং এখন বলা খুব সহজ, যখন এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিল কোভিড সংখ্যা তেমন কিছুই ছিল না। আমরা মুম্বাই দিয়ে শুরু করেছিলাম এবং কোন সমস্য ছাড়া সেখানে শেষ করেছি। মুম্বাইয়ে তখন করোনা বেশি ছিল।

বিসিসিআই এখনো বলেছে এই বছর ভারতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৪তম আসর আয়োজন করা কোন ভুল ছিল না। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সভাপতি এবং ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি এই বিষয়ে সব কিছুর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজনের বিষয়ে কি আলোচনা হয়েছিল?

এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল, তবে ফেব্রুয়ারিতে করোনার এরকম কিছুই ছিল না। করোনা পরিস্থিতি গত তিন সপ্তাহের এমন হয়েছে। এর আগে কিছুই ছিল না। আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম। কিন্তু তার পরেও ভারতে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

আবার শুরু করার জন্য উইন্ডো আছে?

আমরা দেখবো, এখনই বলতে পারছিনা।

যদি পুনরায় শুরু করা যায় তবে কি তা সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে নাকি ভারতেই হবে?

আমি জানিনা, এখনই বলতে পারছি না।

জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবলকে দোষ দেওয়া হচ্ছে না। বায়ো বাবলের নিয়ম ভেঙেছে এরকম কেউ আছে?

আমি সেটা মনে করিনা। আমরা যে প্রতিবেদন পেয়েছি সেখানে বায়ো বাবলের নিয়ম ভাঙার কিছু নেই। আসলে কি ভাবে ঘটেছে এটা বলা কঠিন। দেশে এত লোক কি ভাবে সংক্রমিত হচ্ছে সেটাও বলা যাচ্ছে না।

ছয় শহর থেকে এক বা দুই শহরে আয়োজন করা কি ভালো হত?

আমি বলেছিলাম, যখন আমরা এই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তখন ভারতে করোনা পরিস্থিতি এমন ছিল না। সুতরাং এখন বলা খুব সহজ, যখন এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিল কোভিড সংখ্যা তেমন কিছুই ছিল না। আমরা মুম্বাই দিয়ে শুরু করেছিলাম এবং কোন সমস্য ছাড়া সেখানে শেষ করেছি। মুম্বাইয়ে তখন করোনা বেশি ছিল।

গত আসরের মত জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবলের জন্য যুক্তরাজ্যের সংস্থা রিসোরটাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তাদের দায়িত্ব দিলে কি ভালো হত?

আমরা তাঁদের নিয়ে আলোচনা করেছি, তবে ভারতে তাঁদের তেমন কিছু নেই, এটাই ছিল সমস্যা। সুতরাং আমরা অন্যদের দিকে ঝুঁকে ছিলাম।

মূল জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবলটি বিসিসিআই দ্বারা গঠিত ছিল। আপনার কি আফসোস আছে যে পেশাদার কাউকে দায়িত্ব দিলে ভালো হত?

তাঁরা সকলেই পেশাদার ছিল। বিশ্ব জুড়ে যারা পেশাদার তারাও এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ইংল্যান্ডে যখন সংক্রমণ হয়েছিল তখন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে প্রবেশ করে ছিল। ম্যানচেস্টার সিটি, আর্সেনালের খেলোয়াড়রা সংক্রমিত হয়েছে। ম্যাচ গুলো পুনরায় অনুষ্ঠিত হয়। কারণ তাদের মৌসুমটি ছয় মাস দীর্ঘ, তারা এটি করতে পারে। তবে আমাদের মৌসুম ছোট। যেহেতু আমাদের খেলোয়াড়দের তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠাতে হবে, তাই পুনরায় আয়োজন খুব কঠিন ছিল।

বিদেশি খেলোয়াড়দের আপনি কি ভাবে নিরাপদ দেশে পৌছে দিবেন?

সব ঠিক হয়ে যাবে। তাদের সবার দেখাশোনা করা হচ্ছে এবং তারা সবাই দেশে পৌঁছে যাবে। অস্ট্রেলিয়ানরা আগামীকাল মালদ্বীপে যাবে। তাদের কোয়ারেন্টাইন শেষ করবে এবং তার পর নিরাপদে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছাবে। সুতরাং আমি কোন সমস্যা দেখতে পাচ্ছি না।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের ফাইনাল খেলতে ইংল্যান্ড যাওয়ার আগে ক্রিকেটারদের টিকা দেওয়ার কোন প্রয়োজন আছে কি?

এখন যেহেতু তাদের সময় আছে, তারা পৃথক ভাবে এটি করবে যেহেতু রাজ্য সরকার ভ্যাকসিন গুলো গ্রহণ করছে। তাই সকলের নিজ নিজ বাড়িতে চলে যাবে, সুতরাং এটি একটি সহজ বিকল্প।

আইপিএল বিসিসিআইয়ের রাজস্বের একটি বড় অংশ নিয়ে আসে। এখন যেহেতু এবারের আসর স্থগিত হয়েছে, এই মৌসুমে রঞ্জি ট্রফি অনুষ্টিত না হওয়াতে ঘরোয়া খেলোয়াড়দের কি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে?

তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এটি শুধু মাত্র এজিএমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুতরাং মৌসুম শেষে, যখন তাদের পারিশ্রমিক দেওয়া হবে, তখন তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

রাজস্ব ঘাটতি ক্ষতিপূরণে প্রভাবিত করবে?

না, তা হবে না।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের ফাইনাল কি সময় মত অনুষ্ঠিত হবে?

হ্যা, এটা ১৮-২২ জুন সাউদাম্পটনে অনুষ্টিত হবে।

ক্রিকেটাররা এক সাথে হবে, পরিক্ষা করবে, ইংল্যান্ডে গিয়ে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকবে?

হ্যা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থানান্তরিত হওয়ার খবর শোনা যাচ্ছে?

এটা এখনই বলতে পারছি না।

এই প্রথম আইএমজি ভারতে আইপিএল পরিচালনার দায়িত্বে ছিল না। এটা কি ব্যবস্থাপনাকে প্রভাবিত করেছিল?

আইএমজি কোভিডের বিষয় দেখে না । এমন কি গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে যখন আয়োজন করা হয়েছিল তখনও আইএমজি কোভিডের জন্য দায়বদ্ধ ছিল না। আইএমজি ম্যাচ এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করছিল। কোভিডের বিষয় সম্পূর্ণ ভাবে চিকিৎসা অবকাঠামো দ্বারা পরিচালিত হয়। এটির সাথে আইএমজির কোন কিছু নেই।

করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএল চালিয়ে যাওয়ার জন্য কি বিসিসিআইয়ের সমালোচনা করা উচিত?

যখন ইংল্যান্ডে লকডাউন ছিলো তখন ইংলিশ প্রিমিয়াম লিগ চলেছে। লা লিগা চলেছে, বিশ্ব জুড়ে সব হয়েছে। এটিই আপনার প্রশ্নের উত্তর।

করোনা পরিস্থিতিতে বিসিসিআইয়ের ত্রাণ বিতরণ নিয়ে কোন পরিকল্পনা আছে?

হ্যাঁ. আমরা গত বছর এটা করেছি (৫১ কোটি রুপি)। তাই এই বছরও আমরা এই বিষয় নিয়ে ভাবছি।

আইপিএল স্থগিতের সিদ্ধান্ত কি সর্বসম্মত ছিল?

হ্যাঁ, তা তো বটেই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...