বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) যেন ক্রিকেট কম, বিতর্ক বেশি। আর এই বিপিএলে এবার প্রকাশ্যে ধূমপানের ঘটনা ঘটল। আর এর দায়ে কাঠগড়ায় খুলনা টাইগার্সের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। তাও তাঁর এই ঘটনা নাড়া চাড়া করতে গিয়ে পাওয়া গেল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বিপিএলে এবারই যে প্রথমবারের মত প্রকাশ্যে ধূমপান করতে কাউকে দেখা গেল, তা কিন্তু নয়। গেল বছরে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন আফগান উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ শাহজাদ। তিনি, বৃষ্টির কারণে থেমে থাকা ম্যাচের মাঝপথে একদম মাঠের মধ্যেই ইলেকট্রিক সিগারেট দিয়ে ধূমপান করেন শাহজাদ।
এখন সেই তালিকায় সামিল হলেন বাংলাদেশেরই সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের খুবই পরিচিত মুখ। এতই পরিচিত যে, এক সাথে বিসিবি ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক পদেই তিনি আসিন। শুক্রবার রাতে গ্রুপ পর্বের একদমই অগুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ ছিল খুলনার জন্য। কারণ, ফরচুন বরিশাল আগেই শেষ চার নিশ্চিত করে ফেলেছে।
অন্যদিকে, অনেক আগেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে খুলনা। ফলে, স্রেফ নিয়মরক্ষার ম্যাচই ছিল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। ২০ তম ওভারে ব্যাট করছিলেন মাহমুদুল হাসান জয় ও হাবিবুর রহমান সোহান। এমন সময় খানিক সময়ের জন্য খুলনার ডাগ আউটে যায় টেলিভিশন ক্যামেরা।
সেখানেই ড্রেসিংরুমে দেখা যায় সুজনকে ধূমপান করতে। খেলা চলাকালে ক্রিকেট মাঠে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটিতে ফরচুন বরিশালকে খুলনা টাইগার্স হারিয়েছে ১৭০ রান তাড়া করে। ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত হওয়ার আগ মুহূর্তে ওই ঘটনা ঘটে। ম্যাচে খুলনার জয় ছাপিয়ে যেন আলোচিত, বলা ভাল সমালোচিত হন ওই সুজনই।
২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে সুপার ওভার শুরুর আগে নিজেকে স্থির রাখতে ধূমপান করেছিলেন বেন স্টোকস। সেটা তিনি প্রকাশ্যে বলার পর অনেক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
কোনো স্বীকৃত ম্যাচ চলাকালে মাঠে প্রকাশ্যে ধূমপান করার এখতিয়ার বিসিবি বা আইসিসি কেউ-ই দেয় না। ফলে, অবধারিত ভাবেই কোচ সুজনকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
খেলোয়াড়রা হলেন তারকা। তাঁদের অনুসরণ করে তরুণ প্রজন্ম। ফলে, খেলাধূলার দর্শন বলে ক্রীড়াবিদদের এমন কিছু করা উচিৎ না যা দেশে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কোনে ভুল বার্তা নেয়। আর খালেদ মাহমুদ সুজনের মত মানুষরা হলেন বিসিবির নিয়ন্ত্রক। ফলে, দেশের ক্রিকেটের শীর্ষ ব্যক্তির ‘পাবলিক ইমেজ’ হুমকির মুখে পড়তে পারে – এমন কিছু না করলেই কি নয়!