যেকোনো কোচ নির্বাচনের দায়িত্ব ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে কমিটির সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকা উচিৎ। অথচ, জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচিং প্যানেলে দুই বিদেশির নিয়োগ নিশ্চিত হওয়ার দু’দিন পর জানা গেল – কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজেই এই খবর জেনেছেন সংবাদ মাধ্যম থেকে।
গত ২৬ জুন বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্পিন বোলিং কোচ ও ব্যাটিং কোচ নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কোচ নিয়োগের দুই দিন পর আজ বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন কোচ নিয়োগের বিষয়ে কিছুই জানতেন না তিনি।
উল্টো তিনি অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন কিনা এটা নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। সুজন আজ মিরপুরে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কোচ নিয়োগের বিষয় পত্রিকা ও টেলিভিশনে দেখে জেনেছেন তিনি। তবে সুজন জানিয়েছেন রঙ্গনা হেরাথের নাম বোর্ডকে প্রথম বলে ছিলেন তিনিই।
সুজন বলেন, ‘আমি তো ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান। আমি আপনাদের থেকে পরে জেনেছি যে এই দুইটা লোককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কেউ আমার সাথে কিছু শেয়ার করে নাই। হয়তো আমি বায়ো বাবলে ছিলাম বলে। তবে আমার কাছে তো ফোন ছিল। কিন্তু আমাকে কিছু জানানো হয়নি।’
সুজন বাংলাদেশ ক্রিকেটে বহুমুখী ভূমিকায় আছেন সুজন। সর্বশেষ তাঁর অধীনেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ জিতে আবাহনী। তিনি বলেন, ‘এটা খবর শুনে জানলাম অ্যাশওয়েল প্রিন্স ও রঙ্গনা হেরাথকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হেরাথের কথা আমিই প্রথমে বলেছিলাম বিসিবিকে। যেহেতু ভেট্টোরি সময় দিতে পারছে না। তো হেরাথ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ছিলো। কিন্তু নিয়োগের বিষয়টা কেউ আমাকে জানায়নি।’
সুজন আরো অভিযোগ করেছেন এখন কোন মিটিংয়েই ডাকা হয়না তাঁকে। এমনকি এখন মেইল পেলেও গত দুই বছরে কোন মেইলও পাননি তিনি। এই বোর্ড পরিচালক নিশ্চিত না তিনি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে আছেন নাকি শুধু নামটাই আছে তাঁর।
সুজন বলেন, ‘আমি ভাইস চেয়ারম্যান আছি কিনা অপারেশন্সের সেটাও আমি নিশ্চিত না। নামে আছি হয়তো, কোন মিটিংয়ে যাওয়া হয় না বা কখনো ডাকেও না। মাঝের দুই বছর তো ই-মেইলই পাইনি, এখন কিছু কিছু পাই। আমার কথা হচ্ছে যদি না জানানোর প্রয়োজন মনে করে আমাকে তো আমি জানব কিভাবে।’
জানিয়ে রাখা ভালো, স্পিন কোচ হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কার সাবেক কিংবদন্তি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথকে ও ব্যাটিং কোচ হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার অ্যাশওয়েল প্রিন্স। হেরাথকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিয়োগ দিলেও প্রিন্সকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্যই।