‘অল্প সময়ে কিছুই পরিবর্তন সম্ভব না’

প্রোটিয়া এই কোচ মনে করেন অল্প সময়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কিছুই পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না। তাই তাঁর লক্ষ্য হবে প্রধান কোচকে সহযোগিতা করা।

আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করবেন অ্যাশওয়েল প্রিন্স। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটসম্যানকে শুধু এই সিরিজের জন্যই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রোটিয়া এই কোচ মনে করেন অল্প সময়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কিছুই পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না। তাই তাঁর লক্ষ্য হবে প্রধান কোচকে সহযোগিতা করা।

ক্রিকেট ভিত্তিক গণমাধ্যম ইএসপিএনকে তিনি জানিয়েছেন প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে সহযোগিতা করতে প্রতি ম্যাচের জন্যই দলের ব্যাটসম্যানদের প্রস্তুত করবেন তিনি। প্রোটিয়া এই কোচ জানিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের কৌশল ও গেম প্ল্যান করে দিবেন তিনি, যেন ম্যাচে ব্যাট হাতে প্রভাব ফেলতে পারেন তাঁরা।

তিনি বলেন, ‘এটা অবশ্যই একটা এক মাসের জন্য খুবই স্বল্পমেয়াদী চুক্তি। আসলে এরকম পরিস্তিতিতে আপনি ব্যাটসম্যানকে খুব বেশি পরিবর্তন করতে পারবেন না। আমার দায়িত্ব হচ্ছে দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে সহযোগিতা করা। প্লেয়ারদের যেকোন ধরনের প্রয়োজনে তাদেরকে প্রতি ম্যাচের জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করা।’

তিনি আরো বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে চিন্তা করলে আপনি প্রভাব ফেলতে পারেন কৌশলে, গেম প্ল্যান এবং আলাদা করে বললে ব্যাটিং গেইম প্ল্যান নিয়ে আলোচনা করলে। ব্যক্তিগত ভাবে বেশির ভাগ ক্রিকেটারেরই ভালো করার ক্ষমতা আছে। কিন্তু, একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি বলতে পারি, প্লেয়ারদের মাঝে মাঝে শুধুমাত্র কোচের অনুমোদনটা দরকার হয়। আর সেটা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।’

দীর্ঘ আট বছর পর পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রিন্স মনে করেন জিম্বাবুয়ের এখনকার আবহাওয়া উপমহাদেশের মতোই হতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন দেশের বাইরের এই সিরিজে নিজেদের সুনাম বৃদ্ধি করবেন ব্যাটসম্যানরা। তিনি মনে করেন আন্তর্জাতিক ব্যাটসম্যানরা নিজেদের সেই ভাবেই তৈরি করে।

প্রিন্স বলেন, ‘খেলোয়াড় যেই দেশেরই হোক না কেন আন্তর্জাতিক ব্যাটসম্যানরা প্রচুর দক্ষতার অধিকারী। ব্যক্তি হিসাবে খুব কমই দুর্বলতা থাকে তাদের। নিজকে নির্ভরশীল আন্তর্জাতিক ব্যাটসম্যান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিভিন্ন পরিস্তিতিতে নিজেদের তৈরি করে। তাই দেশের বাইরে সুযোগ এসেছে নিজেদের এই সুনাম বৃদ্ধি করার।’

তিনি আরো বলেন, ‘জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের আবহাওয়া পরিস্থিতি জোহানেসবার্গের মতোই হবে। বৃষ্টি হবে খুব সামান্যই। গ্রীষ্মের তুলনায় তাপমাত্রাও যথেষ্ট কম। আমি আশা করছি যে স্বাভাবিক গ্রীষ্মের তুলনায় শুষ্ক হবে। উপমহাদেশের আবহাওয়ার সাথে মিল থাকতে পারে।’

সব কিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল জিম্বাবুয়ে সফরে যাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জন্য কোয়ারেন্টাইন নীতিমালা শিথিল করায় টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল আলাদা আলাদা ভাবে জিম্বাবুয়েতে যাবে। প্রতিটা দল মাত্র এক দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষেই জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করতে পারবে।

এই সফরে একটি টেস্টের সাথে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ৭-১১ জুলাই একমাত্র টেস্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার পর একই মাঠে ১৬ জুলাই প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ জুলাই দ্বিতীয় ওয়ানডে ও ২০ জুলাই তৃতীয় ও সিরিজের শেষ ওয়ানডতে মুখোমুখি হবে দুই দল।

ওয়ানডে সিরিজ শেষে একই মাঠে অনুষ্টিত হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ অনুষ্টিত হবে ২৩ জুলাই। এরপর ২৫ জুলাই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলার পর ২৭ জুলাই তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ও সফরের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল। এর আগে ৩ ও ৪ জুলাই সফরের একমাত্র দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...