ভয়ানক সুন্দর ফিল সল্ট
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষেও এই ব্যাটারের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েনি।
ভয়ানক সুন্দর – ফিল সল্টকে দুই শব্দে প্রকাশ করার জন্য এটিই বোধহয় সবচেয়ে সেরা উপায়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি আসরে যেমন ভয়ঙ্কর রূপে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি, তেমনি ব্যাটিংয়ের সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন ক্রিকেটাঙ্গনে। ম্যাচের পর ম্যাচ ক্লান্তিহীন ভাবে পারফরম করে যাচ্ছেন; দলকে এনে দিচ্ছেন উড়ন্ত সূচনা – কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম সেরা অস্ত্র বলা যায় তাঁকে।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষেও এই ব্যাটারের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েনি। দিল্লির ছুঁড়ে দেয়া মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৩ বলে ৬৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছেন তিনি। সাত চার ও পাঁচ ছয়ে সাজানো ইনিংসটিতে ভর করে সহজ জয় তুলে নিয়েছে কলকাতা; ২১ বল এবং সাত উইকেট হাতে রেখে সফরকারীদের পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছে তাঁরা।
এদিন প্রথম ওভারের প্রথম বলেই চার মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন ইংলিশ ওপেনার। সেই ওভারে এরপর আরো একটি চার ও ছয় হাঁকান তিনি। পাওয়ার প্লের বাকিটা সময় তাঁর তান্ডবলীলা থামেনি, সব বোলারের ওপরেই আধিপত্য বিস্তার করেছেন। তাই তো হাফসেঞ্চুরির জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে, ষষ্ঠ ওভারেই ব্যক্তিগত মাইলফলক পূর্ণ হয়।
অক্ষর প্যাটেল শেষমেশ আউট করেন এই ডানহাতিকে, কিন্তু প্যাভিলিয়নে ফেরার আগেই দলের জয় নিশ্চিত করে যান তিনি। আউট হওয়ার সময় কলকাতার দলীয় রান ছিল ১০০ ছুঁই ছুঁই – অর্থাৎ উইকেটে থাকাকালীন দলের মোট রানের ৭১ শতাংশ তাঁর ব্যাট থেকেই এসেছে। জয়ের দিকে বাকি পথ যেতে এরপর আর সমস্যা হয়নি শ্রেয়াস আইয়ারদের, বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে তাঁরা।
চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত নয় ইনিংস খেলেছেন সল্ট, এসময় প্রায় ৪৯ গড়ে ৩৩৯ রান করেছেন তিনি। কেবল সংখ্যা দিয়ে বিচার করলে অবশ্য ভুল হবে, ইম্প্যাক্টফুল রান করার ক্ষেত্রে জুড়ি নেই তাঁর।
জশ বাটলার আছেন দারুণ ছন্দে, ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন জনি বেয়ারস্টো। তাঁদের সাথে ইনফর্ম ফিল সল্ট নিঃসন্দেহে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলবে। বিশ্ব মঞ্চে এই ফর্মের ধারাবাহিকতা থাকলে যেকোনো বোলিং লাইনআপের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠতে পারেন তিনি।