প্রথম ম্যাচেই নায়ক হওয়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়া ভারতকে বন্দরে পৌঁছে দেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিধিবাম, সেটা হয়নি সেদিন। তাঁর দলও হেরেছে স্বাগতিকদের কাছে। তবে সেই ভুল ঠিকই শুধরে নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার; ব্যাট না হলেও তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বল হাতে ঠিকই দলকে জিতিয়েছেন।
এদিন চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৫ রান খরচ করেছেন তিনি; বিনিময়ে শিকার করেছেন তিন তিনটি উইকেট। তাঁর দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের সুবাদেই জিম্বাবুয়ের মিডল অর্ডার ধসে পড়েছে। তা নাহলে হয়তো ডিয়ন মায়ার্স দলকে এনে দিতে পারতেন আরেকটা মনে রাখার মত জয়।
রবীন্দ্র জাদেজা ইতোমধ্যে অবসর নিয়ে নিয়েছেন, ফলে লোয়ার মিডল অর্ডারে সৃষ্টি হয়েছে শূন্যতা। সেই শূন্যস্থান পূরণে ওয়াশিংটনের নাম সবার আগে আসবে। অভিজ্ঞতা বিবেচনায় তাঁর ওপর নজর রাখবে টিম ইন্ডিয়া সেটা জানাও ছিল। তাই তো আইপিএলের বাজে ফর্ম সত্ত্বেও জিম্বাবুয়ে সফরে সুযোগ পান তিনি।
এমন কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে কোন ভুল করেননি এই অফ স্পিনার, আগের দুই ম্যাচে ভাল করতে না পারলেও তৃতীয় ম্যাচে ঠিকই জ্বলে উঠেছেন। এদিন নিজের প্রথম ওভারেই প্রতিপক্ষ অধিনায়ক সিকান্দার রাজা আর জোনাথন ক্যাম্পবেলকে আউট করে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। তাঁর সেই ওভার থেকে আসে মাত্র দুই রান।
একই ধারা বজায় রেখে এই ডানহাতি বোলিং করেছেন ইনিংসের বাকিটা সময়। পরের তিন ওভারে সবমিলিয়ে খরচ করেছেন তেরো রান, বিপরীতে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন বিধ্বংসী হয়ে ওঠা ক্লাইভ মাদান্দেকে। ৫৮ রানের জুটি ভাঙতে না পারলে হয়তো জয় হাতছাড়া হয়ে যেতো টিম ইন্ডিয়ার।
রবিচন্দন অশ্বিনের সঙ্গে সুন্দরের বোলিং স্টাইল অনেকটা মিলে যায়। স্বাভাবিক অফ স্পিনের বাইরেও টপ স্পিন, ক্যারম ডেলিভারিতে মুন্সিয়ানা আছে তাঁর। সেই সাথে ব্যাটিংও করতে পারেন কাজ চলার মত – একটা কমপ্লিট প্যাকেজ বলা যায় তাঁকে। এখন শুধু এই তারকার নিজেকে ভাল থেকে আরো ভাল করার পালা।