আইপিএলের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তিনটি গোল্ডেন ডাক। আইপিএলের প্রথম ছয় ম্যাচেও সুরিয়াকে দেখে যেন মনে হচ্ছিলো রান করতেই ভুলে গেছেন টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা এই ব্যাটার।
কিন্তু টেম্পরারি ফর্মের সময় পেরিয়ে এসে পার্মানেন্ট ক্লাস দেখানো আবারো শুরু করেছেন সুরিয়াকুমার। আইপিএলের শেষ দিকে এসে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন সুরিয়া। গুজরাটের বিপক্ষে তুলে নিয়েছেন নিজের প্রথম আইপিএল সেঞ্চুরি।
আইপিএলের প্রথম অংশটা মোটেও ভালো কাটেমি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। তবে সুরিয়ার ফর্মে ফেরার সাথে সাথে ট্র্যাকে ফিরেছে মুম্বাইও। সুরিয়ার সেঞ্চুরিতে টেবিলের শীর্ষে থাকা গুজরাটকে হারিয়ে প্লে অফের দৌড়ে এখনো তারা টিকে আছে ভালো ভাবেই। গুজরাটের শক্তিশালি বোলিং লাইনআপকে তুলোধুনো করে ৪৯ বলে ছয় ছক্কা ও ১১ চারে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি।
ম্যাচসেরার পুরষ্কার নেবার পর নিজের ইনিংস নিয়ে সুরিয়া বলেন, ‘আমি জানিনা এটা আমার সেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংস কিনা। আমি যখনই রান করি, আমি চিন্তা করি দলকে জেতাতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো আমরা যখন প্রথমে ব্যাটিং করি তখন আমরা নিজদের মধ্যে বলেছি ২০০-২২০ রান তাড়া করলে যে গতিতে ব্যাটিং করতাম আমরা এখন দেই গতিতে ব্যাট করব।’
সুরিয়া আরো বলেন, ‘মাঠে অনেক শিশির ছিলো সাত বা আট নম্বর ওভারে থেকেই এবং আমি জানতাম কি শট খেলতে হবে। আমি সোজা মারার ব্যাপারে ভাবছিলাম না। আমার মাথায় তখন দুটো শট ছিলো। একটি ফাইন লেগের ওপর দিয়ে আরেকটি থার্ড ম্যানের ওপর দিয়ে। ম্যাচের আগে প্রচুর অনুশীলন করি আমি। তাই যখন ম্যাচ খেলতে মামি তখন শুধু নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করি।’
এই সেঞ্চুরিতে এবারের আইপিএলে ১২ ম্যাচ শেষে সুরিয়ার রান ৪৭৯। টি-টোয়েন্টিতে ৪৩.৫৪ গড় আর ১৯০.৮৩ স্ট্রাইক রেটটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও সুরিয়ার নামের সাথে খুব বেশি অবিশ্বাস্য শোনায় না। সবশেষ ছয় ম্যাচে এক সেঞ্চুরি আর চার হাফ সেঞ্চুরিতে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায়ও উঠে এসেছেন তিন নম্বরে।