আগেও জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করেছিলেন, তবু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ সুরিয়াকুমার যাদবের জন্য বিশেষ কিছু। কেননা এ ম্যাচ দিয়েই সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে তাঁর পথচলা শুরু হয়েছে। বিশেষ ম্যাচ অবশ্য ব্যাট হাতে স্মরণীয় করে রেখেছেন তিনি, খেলেছেন অধিনায়কসুলভ এক ইনিংস।
এ দিন তিন নম্বরে নেমে মাত্র ২৬ বল খেলতে পেরেছেন এই ব্যাটার, তাতেই করেছেন ৫৮ রান! আট চার ও দুই ছয়ে সাজানো ইনিংসটিতে স্ট্রাইক রেট দুইশো’র গন্ডি ছাড়িয়েছে, সেই সাথে দলকে বড় সংগ্রহের ভিতও গড়ে দিয়েছে এমন ব্যাটিং।
যশস্বী জয়সওয়াল ও শুভমান গিলের উদ্বোধনী জুটি টিম ইন্ডিয়াকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিল। কিন্তু পর পর দুই বলে দুই ওপেনার ফিরে গেলে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে তাঁরা – কিন্তু অধিনায়ক সেই চাপকে উড়িয়ে দিয়েছেন চোখের পলকে, আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এলোমেলো করে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের বোলিং লাইন আপ। মাত্র ২২ বলেই এদিন হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন তিনি, যা কি না তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় দ্রুততম।
সুরিয়া আসলে এমনই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরুটা করেছিলেন জোফ্রা আর্চারকে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে। এরপর স্রেফ ছুটে চলেছেন উন্নতির শিখরে, ভয়ডরহীন অ্যাপ্রোচে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সময়ের সেরা ব্যাটারদের একজন হিসেবে। বর্তমান প্রজন্মের মি.৩৬০° নামটা তাই তাঁর পাশেই মানায়।
অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের কারণেই হার্দিক পান্ডিয়াকে অধিনায়ক না করে নেতৃত্বের ভার দেয়া হয়েছে তাঁকে। দায়িত্ব বাড়লেও এই তারকার খেলার ধরনে তার প্রভাব পড়েনি, সেটাই প্রমাণিত হলো লঙ্কানদের বিপক্ষে।
তবে এতটুকুতেই আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই, নেতা হিসেবে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে – তাই আগের চেয়েও বেশি ধারাবাহিক আর ক্ষুরধার হতে হবে তাঁকে।