ইনজুরির সাথে তাঁর সক্ষতা তো বহু পুরনো। তিনি বল হাতে প্রতিবার যখন ছুটে যান তখনই শঙ্কাটা জাগে। এই বুঝি আরেকবার ইনজুরিতে পড়ে গেলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রায় ৪০ বছরের ম্যাশকে নিয়ে তো সেই শঙ্কা আরো বেশি থাকে। আর বিপিএলের শেষ সময়ে এসেই আসলো বড় ধাক্কাটা।
সিলেটে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচে গ্রোয়েন ইনজুরিতে পড়েন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এরপর থেকেই আর মাঠে নামতে পারছেন না এই পেসার। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচটায়ও খেলা হয়নি এই তাঁর। এরপর থেকে অনুশীলনেও বোলিং করেননি তিনি।
ইনজুরি থাকলেও অবশ্য দলের সাথে অনুশীলনে উপস্থিত থাকেন এই অধিনায়ক। নিজে অনুশীলন করতে না পারলেও দলের সবাইকে উজ্জীবিত রাখাই তাঁর উদ্দেশ্য। তবে এতেই নিশ্চিন্ত হতে পারছেনা সিলেট স্ট্রাইকার্স। টুর্নামেন্টের শেষ সময়ে এসে, বিশেষ করে প্লে অফে অবশ্য তাঁদের অধিনায়ককে মাঠে চাইবে দলটা।
তবে ইনজুরির কারণে মাশরাফি মাঠে নামতে পারবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা। আট তারিখ সিলেট তাঁদের পরবর্তী ম্যাচে খুলনার বিপক্ষেও মাশিরাফিকে একাদশে পাবে না।
এখন প্লে অফে মাশরাফিকে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়েই যত আলোচনা। এই ব্যাপারে দলটার কোচ তুষার ইমরানও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। তবে মিরপুর শেরে বাংলায় জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই কোচ বলেছেন, ‘মাশরাফি আগামী ম্যাচে অনিশ্চিত। ফিজিওর সিদ্ধান্তের ওপর তার খেলা নির্ভর করবে। তবে আশা করছি, সামনের ম্যাচে না পেলেও কোয়ালিফায়ারে আমরা মাশরাফিকে পাবো।’
কোয়ালিফায়ারে মাশরাফিকে পেতেই হবে দলটার। কেননা এই অধিনায়কের ছোঁয়াতেই এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সফলতম দল সিলেট স্ট্রাইকার্স। বিপিএলের এবারের আসরে ১১ ম্যাচ খেলে ৮ টিতেই জিতেছে দলটা। এই মুহূর্তে আছে পয়েন্ট টেবিলের এক নাম্বার অবস্থানে।
ওদিকে সিলেটের পেস আক্রমণ এখন এমনিতেই বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমিরকেও কোয়ালিফায়ারে পাচ্ছেনা দলটা। এছাড়া আরেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ ওয়াসিমকেও পাবেনা সিলেট। ফলে দলের শক্তিমত্তা বাড়ানোর জন্য মাশরাফিকে ভীষণ প্রয়োজন সিলেটের।
অধিনায়ক হিসেবে যেমন সফল, তেমনি বল হাতেও দারুণ ছন্দে ছিলেন মাশরাফি। বিপিএলের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১২ উইকেট। এই মুহূর্তে তিনি আসরের সপ্তম সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। তাঁর বোলিং ইকোনমি মাত্র ৭.৫৫।
ফলে নিজেদের শেষ ম্যাচগুলোতে মাঠে নামার আগে সিলেটের সবচেয়ে বড় শঙ্কা মাশরাফিকে নিয়েই। তিনি ফিরলে যেমন নিজেদের পেস আক্রমণের শক্তি বাড়ে, তেমনি একটা জাদুর ছোয়াও তো পাওয়া হয়।