বিপিএলের মান ও ফিক্সিং শঙ্কা

বিপিএলের তিন দল ইতোমধ্যেই আসর থেকে ছিটকে গিয়েছে। ঢাকা ডমিনেটর্স, খুলনা টাইগার্স কিংবা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এই দলগুলোর আর বিপিএল থেকে কিছুই পাওয়ার নেই। বাকি ম্যাচগুলো জিতলেও তাঁরা খেলতে পারবে না প্লে অফে। ওদিকে এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলের প্রথম চার দল নিশ্চিত করে ফেলেছে প্লে অফ। ফলে তাঁদের জন্যও ঢাকা পর্বের শেষ ছয়টা ম্যাচ অর্থহীন।

সাত দলের মাসব্যাপী এক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। লিগ পর্ব শেষে সেরা চার দল খেলবে প্লে অফে। ফলে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচগুলো হয়ে ওঠার কথা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কখনো ডু অর ডাই। অথচ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চিত্রটা উল্টো। এখানে বরং শেষ ম্যাচগুলোই ডেড হয়ে রয়েছে। লিগ পর্বের শেষ ছয়টা ম্যাচের যেন কোন গুরুত্বই নেই। শুধুই আনুষ্ঠানিকতা রক্ষা করা জন্য মাঠে নামা।

বিপিএলের তিন দল ইতোমধ্যেই আসর থেকে ছিটকে গিয়েছে। ঢাকা ডমিনেটর্স, খুলনা টাইগার্স কিংবা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এই দলগুলোর আর বিপিএল থেকে কিছুই পাওয়ার নেই। বাকি ম্যাচগুলো জিতলেও তাঁরা খেলতে পারবে না প্লে অফে। ওদিকে এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলের প্রথম চার দল নিশ্চিত করে ফেলেছে প্লে অফ। ফলে তাঁদের জন্যও ঢাকা পর্বের শেষ ছয়টা ম্যাচ অর্থহীন।

এই ম্যাচগুলো গুরুত্বপূর্ন শুধু একটি দিক থেকেই। লিগ পর্বের সেরা দুই দল নিশ্চিত হবে এখান থেকে। তবে বাদ পড়ে যাওয়া  তিন দলের জন্য ম্যাচগুলো ডেড রাবার। ফলে শেষ পর্যায়ে এসেও দর্শকদের আগ্রহ টানতে পারছেনা টুর্নামেন্টটি। প্রশ্ন উঠছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের মান নিয়েও।

এই পর্যায়ে আরেকটা প্রশ্ন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যেই সেরা চার নিশ্চিত করে ফেলা দলগুলো বেশি শক্তিশালী নাকি বাদ পড়া তিন দল নূন্যতম মানের ক্রিকেটটাও খেলতে পারেননি টুর্নামেন্ট জুড়ে। কেননা বাদ পড়া তিন দল ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা সবমিলিয়ে মোট ৩১ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে মাত্র ৭ টিতে।

অর্থাৎ এই তিন দল মিলে এখন পর্যন্ত যে ৩১ টা ম্যাচ খেলেছে তার মাত্র ৭ টি জিতেছে তাঁরা। এরমধ্যে ঢাকা জিতেছে ৩ ম্যাচ। খুলনা আর চট্টগ্রাম জিতেছে ২ টি করে ম্যাচ। তবে আরো অবাক হতে হয় সেরা চার দলের বিপক্ষে তাঁদের ম্যাচ জয়ের তালিকা করলে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা সবাই মিলে সেরা চার দলের বিপক্ষে জিতেছে মাত্র ২ টি ম্যাচ।

সেখানে একটি ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে হারিয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্স। আরেকটি ম্যাচে খুলনা টাইগার্স হারিয়েছে রংপুর রাইডার্সকে। সেরা চারের বাকি দুই দল সিলেট স্ট্রাইকার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বাদ পড়া কোন দলের বিপক্ষেই ম্যাচ হারেনি এখন পর্যন্ত। আর এখানেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে প্রথম চার দলের সাথে শেষ তিন দলের পার্থক্য কতটা।

মোদ্ধা কথা কুমিল্লা, বরিশাল কিংবা সিলেটের মত দলগুলোর সাথে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা। ফলে দলগুলোর শক্তিমত্বার পার্থক্য ও মাঠের ক্রিকেটে বিপিএলের মান তীব্রভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

তবে একটু তলিয়ে দেখলে আরো খারাপ কিছুও হতে পারে শেষ দিকের এই ম্যাচগুলোতে। বিপিএলের মত ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে এমনিই বাড়তি নজর থাকে জুয়ারিদের। তারপর আবার এই ডেড রাবার ম্যাচগুলো আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে ফিক্সারদের জন্য। ফলে ফিক্সিং নিয়েও একটা আশঙ্কা থেকেই যায় এই ম্যাচগুলোতে।

বিপিএলের মান নিয়ে কিংবা এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে ফিক্সিং নিয়ে শঙ্কা সবসময়ই থাকে। তবে লিগ পর্বের এই শেষ ম্যাচগুলো সেই শঙ্কা আরো জাগিয়ে তোলে। মান ও ফিক্সিং দুটি নিয়েই নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...