তামিমের ভুল, বিজয়ের অভদ্রতা!

জার্সি পরেই টস করাটাই এখনকার ক্রিকেটের অলিখিত নিয়ম। কিন্তু, আসরের নাম যখন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) তখন সেই নিয়ম মানার দিব্যি দিয়েছে কে!

জার্সি পরেই টস করাটাই এখনকার ক্রিকেটের অলিখিত নিয়ম। কিন্তু, আসরের নাম যখন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) তখন সেই নিয়ম মানার দিব্যি দিয়েছে কে!

তাই, সাধারণ এই কার্টেসিকে বুড়ো আঙুল দেখালেন এনামুল হক বিজয়, দূর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক। তিনি টস করতে আসলেন প্র্যাকটিস কিট পরে।

পাশে দাঁড়িয়ে ফরচুন বরিশালের জার্সি পরে টসের কয়েন ছুড়ে মারলেন তামিম ইকবাল। বিপিএলের শুরুটাই হল কুৎসিত একটা দৃশ্য দিয়ে। এটা চূড়ান্ত অ-পেশাদারিত্বের নমুনা।

ওহ হ্যাঁ, আরেকটা ব্যাপার তো না বললেই নয়। টস হল দুবার। টস করার জন্য আসা লঙ্কান ধারাভাষ্যকার পারভেজ মাহরুফের ইন্ট্রোডাকশন শুরু হওয়ার আগেই কয়েন ছুড়ে মেরেছিলেন তামিম।

পরে ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদের তত্ত্বাবধানে দ্বিতীয়বার টস হয়। তামিমের ভুলটা নিতান্তই মানবিক। কিন্তু, বিজয় যেটা করলেন – সেটা এক রকমের অশোভনীয় আচরণ। পেশাদার আসরের জন্য এটা অবমাননাকর।

প্র্যাকটিস কিট পরা যাবে না টসে – এমন কোনো আইন নেই। এটা একটা সৌজন্যতা। টুর্নামেন্টের প্রতি এক ধরণের একাত্বতা প্রকাশ করা। সেটা করেননি বিজয়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) কিংবা বিগ ব্যাশে এই দৃশ্য কখনও ভাবতে পারবেন?

ইমরান খান ১৯৯২ বিশ্বকাপে ডু অর ডাই ম্যাচে বাঘের ডোরাকাটা জার্সি পরে টস করতে এসেছিলেন। তখন পাকিস্তানের টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেবার অবস্থা। ফাইনালে যেতে হলে টানা ম্যাচ জিততে হবে।

টসে ইয়ান চ্যাপেল ইমরানকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই ডোরাকাটা জার্সির রহস্য কী?’ ইমরান খান বললেন, ‘আমি আমার দলকে বলেছি কর্নার্ড টাইগারের মতো খেলতে। টাইগার কর্নারড হলে যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তোমরাও সেরকম করো!’

বড় মঞ্চে টিভির সামনে সম্ভবত সেই শেষবার কোন দলের অধিনায়ক টিম জার্সি না পরে প্র‍্যাকটিস টাইপ জার্সি পরে এসেছিলেন। পারফরম্যান্সে না হোক, এই ঘটনা দিয়ে অন্তত এবার ইমরান খানই হতে চাইলেন এনামুল হক বিজয়।

Share via
Copy link