চিকিৎসকের নির্দেশনা মানেননি তামিম

অভিযোগ হল - সেই ব্যায়াম বা শারীরিক কসরত করেননি তামিম। তামিম বরং নিজেই আঙুল তুলেছিলেন ফিজিওর দিকে। তামিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গেছে।

নিজেদের মেডিকেল টিমের কোনো গাফিলতি পায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বরং, ডাক্তারদের নির্দেশনা না মানার জন্য অভিযুক্ত হচ্ছেন স্বয়ং তামিম ইকবালই।

দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার মেডিকেল টিম থেকে তামিমের চিকিৎসা বিষয়ক প্রেসক্রিপশন দেওয়া হয়েছিল।  সেখানে চোট কাটিয়ে ওঠার জন্য ব্যায়ামের উল্লেখও ছিল।

তবে, অভিযোগ হল – সেই ব্যায়াম বা শারীরিক কসরত করেননি তামিম। তামিম বরং নিজেই আঙুল তুলেছিলেন ফিজিওর দিকে। তামিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গেছে।

বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সেটা দেখেছেন। দেখে অবাকও হয়েছেন। মঙ্গলবারের বোর্ড সভায় এই নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। তবে, সভা শেষে গণমাধ্যমে এই ব্যাপারে কিছু বলেননি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

তামিম ইকবাল ও মেডিকেল টিম মুখোমুখি গত রোববার ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যানের সাথে বসেছিল। সেখানেই এব ব্যাপার উঠে আসে। চিকিৎসকদের দেওয়া রুটিন একেবারেই অনুসরণ করেননি তামিম।

তামিমের কোমরের ইনজুরি অনেকদিনের পুরনো। বিসিবির মেডিকেল বিভাগকে এই ব্যাপারে ২০২২ সালের অক্টোবরে জানান তামিম। দেশে বা দেশের বাইরে অনেকবার এমআরআই করানো হয়।

ভারতের বিপক্ষে গত বছরের শেষে হোম সিরিজে ছিলেন না এই ইনজুরির জন্য। এরপর ব্যাথানাশক ইনজেকশন নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলেন ও ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলেন।

এরপর মে মাসে ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যান। সেখানে কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহের পরামর্শে ডাক্তার দেখিয়ে এমআরআই করান।

সমস্যা পুরোপুরি বের করা না গেলেও ব্যাথা কমিয়ে আনার জন্য কিছু ব্যায়ামের পরামর্শ দেন ওই ডাক্তার। বিসিবির মেডিকেল দল সেই অনুযায়ী প্রেসক্রিপশন বানায় তামিম ইকবালের জন্য।

তৎকালীন ওয়ানডে অধিনায়ক সেই নির্দেশনা না মেনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট না খেললেও ওয়ানডে সিরিজে ফেরেন।

বাকি ঘটনা তো সবারই জানা। আনফিট হয়ে খেলতে নেমে ব্যর্থ হন। সমালোচনা হয়। কোচ ও বোর্ড সভাপতির আলাপচারিতা গণমাধ্যমে আসে। তামিম সিরিজের মাঝপথে হুট করে অবসরে চলে যান। ২৮ ঘণ্টা পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন গত জুলাই মাসে।

এরপর আবারও ইংল্যান্ডে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে ইনজেকশন নেন। দেশে ফিরে বোর্ডের সাথে কথা বলে সম্প্রতি অধিনায়কত্ব ছাড়েন। বোর্ড এখন নতুন অধিনায়ক খুঁজছে। কিন্তু, পরিচর্যাটা ঠিক মত হলে এই দিন দেখার প্রয়োজন হয় না বাংলাদেশ ক্রিকেটের।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...