ডু অর ডাই। তামিম ইকবালের জন্য লড়াইটা ছিল তেমনই। কারণ, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বড় রান করলেও খুব বেশি আলোচনা হবে না। বরং, বাজে পারফরম্যান্সের জন্য সমালোচনা হবে তার চেয়েও অনেক বেশি। তামিম ইকবালের ক্ষেত্রে হল দ্বিতীয়টা। সিলেটের প্রথম ওয়ানডেতেতে ফরম্যাটটির অধিনায়ক ফিরতে পারেননি রানে।
অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে তামিমের দূর্বলতা ছিল চোখে পড়ার মত। ইনিংসের মাত্র তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তিনি ওই অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়েই। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে আউট হওয়ার আগে নয় বল থেকে করেন মোটে তিন রান।
সর্বশেষ পাঁচ ইনিংসে তামিমের ব্যাট থেকে আসেনি বলার মত কোনো রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও তিনি রান পাননি। সর্বোচ্চ এক ম্যাচে ৩৫ রান করেছিলেন ইংলিশদের বিপক্ষে, মিরপুরে। পরিচিত কন্ডিশনে অনেকদিন বাদে দল সিরিজও হেরেছে।
এর আগে ইনজুরিতে ভারতের বিপক্ষে খেলেননি। গেল আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচে দু’টো ফিফটি করলেও দল হেরেছে বাজেভাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এর আগের মাসে একটা হাফ সেঞ্চুরি করেন।
বড় দলের বিপক্ষে তাঁর বড় ইনিংস খেলার নজীরটা এখন থেকে এক বছর আগের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁদের মাটিতে ৮৭ রানে ছিলেন অপরাজিত। সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছেন ২০২১ সালের জুলাইয়ে, তাও আবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। মানে প্রায় বছর দুই হল দলের ওপেনারের কোনো সেঞ্চুরি নেই।
মাস ছয়েক পর অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। একে তো ওয়ানডেই এখন অবধি বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে পছন্দের ফরম্যাট। আর এবার বিশ্বকাপটা ভারতে অনুষ্ঠিত হবে বলে, অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ দলের সুযোগটা বেশি। এই মুহূর্তে তাই তামিমের অফফর্ম বাংলাদেশের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আরও দু’টি ওয়ানডে বাকি। সিরিজেও ছন্দে ফিরতে না পারলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবে। সেরা বিকল্পও প্রস্তুত, তিনি সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডকে তাঁর অধীনেই টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ দল।
আর প্রভাবক হিসেবে খোদ কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে তো আছেনই। তাঁর মনোভাবটা পরিস্কার, পারফর্ম করতে না পারলে যে কেউই দল থেকে জায়গা হারাতে পারেন। এই সূত্রেই ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চাপে আছেন মুশফিকুর রহিমও। নিশ্চয়ই, তামিম নিজেও চাপটা টের পাচ্ছেন খুব ভাল ভাবেই!