মাঠের বাইরে সমালোচনা হয়। তাকে নিয়ে নানা কথা হয়। তবে তামিম ইকবাল খান মাঠের খেলাতেই দিচ্ছেন পূর্ণ মনোযোগ। ফরচুন বরিশালকে আরও একটি শিরোপা এনে দেওয়ার দিকেই রেখেছেন নজর। ব্যাট হাতে রান করছেন, দলকে দেখাচ্ছেন আলোর পথ।
তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ঠিক কোন দিকে এগিয়ে যাচ্ছে- তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তামিম নিজেও কোন কিছু পরিষ্কার করে বলছেন না। তাই তো তাকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। আলোচনায় প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু তামিম হয়ত নিজের শেষটা ভেবে রেখেছেন।
তাই তো এখন উপভোগ করছেন নিজের ব্যাটিং। আর সেই উপভোগ প্রতিপক্ষের জন্য দুর্ভোগের কারণ। সেটাই দুর্বার রাজশাহী টের পেয়েছে। একা হাতে রাজশাহীর পরাজয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ালেন ‘দ্য ড্যাশিং ওপেনার’। প্রশ্ন ওঠে আগের সেই জৌলুস কি আছে তার? এমন প্রশ্নের কোন তোয়াক্কাই করেন না তামিম।
ক্যারিয়ারে তো ক্রিকেটকে দিয়েছেন অনেককিছুই। এবার হয়ত খানিক নিজের জন্যই ব্যাটে বড় রান দেখার খায়েশ তার। রাজশাহীর বিপক্ষে ম্যাচটা শেষ করলেন নিজস্ব ঢঙে। ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করলেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার।
৮৬ রানের অনবদ্য একটা ইনিংস খেলেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫২ তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। এখনও ড্রাইভিং সিটে বসতে জানেন তিনি। গাড়িটাও চালাতে জানেন। গিয়ার কখন পরিবর্তন করতে হবে, কখন গতি বাড়াতে হবে- সব কিছুই মনে আছে তার। ভুলে যেতে চাইলেও তো ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়।
দীর্ঘ দুই দশকের ক্যারিয়ারে তার মাসল মেমরিতে জমেছে অনেক স্মৃতি। মস্তিষ্ক অন্যকিছু ভাবলেও খোদ তামিমের শরীর জানে কখন কি করতে হবে। যদিও মনোযোগের অভাব তামিমের হয় না। বাইশ গজে ব্যাট হাতে এলেই বাইরের সব ভুলে যান তিনি। ওই শক্ত ধূসর মাটির একমাত্র অধিপতি বনে যান তামিম।