আক্রমণে এসেই উইকেট পাবেন, উল্লাস করবেন। ব্যাটার মাথা নিচু করে বিদায় নিবেন – এই দৃশ্যকে নিয়ম বানিয়ে ফেলেছেন তানজিম হাসান সাকিব। মিরপুর কিংবা গায়ানা – যেখানেই খেলুন তানজিমের আগ্রাসন চলবেই।
গ্লোবাল সুপার লিগটা বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয় হয়েই থাকছে। না, রংপুর রাইডার্সের জন্য নয় – তানজিম হাসান সাকিবের জন্য। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের জয়ের সারথী ছিলেন।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ডোমিনেটিং গায়ানা। তানজিম সাকিব সেখানে বাড়তি একটা মাত্রা যোগ করছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে এই পেসার চার ওভারে ২৬ রান দিয়ে নিয়েছেন এক উইকেট।
এবারও তানজিম যথারীতি প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়ে যান। এটাই যেন তাঁর রোজকার ডিউটি! নিজের করা চতুর্থ বলেই উপরে ফেলেন হ্যাম্পশায়ার হকসের অ্যালি ওরের স্ট্যাম্প। পাওয়ার প্লে-তে বাংলাদেশি এই পেসারের হাতে বল তুলে দিতে দ্বিতীয়বার ভাবেন না গায়ানা অধিনায়ক ইমরান তাহির।
ইমরান তাহির নিজেও ছিলেন দারুণ ছন্দে। তিনি এই বুড়ো বয়সেও নেন তিনটি উইকেট। নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তুলে হ্যাম্পশায়ার।
জবাব দিতে নেমে, কখনওই সেই অর্থে পথ হারাতে হয়নি গায়ানাকে। দারুণ এক জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তাহির-তানজিমের দল। জয় নিশ্চিত হয় ১০ বল বাকি থাকতেই।
আসছে বৃহস্পতিবার তানজিমের দল গায়ানার লড়াই খোদ রংপুর রাইডার্সের সাথে। টানা দুই ম্যাচ হেরে রংপুর অবশ্য খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থাতে নেই।