কাঁপিয়েই দিয়েছিলেন তানজিম সাকিব

পঞ্চম ওভারে তানজিম নিজেকে আরও গুছিয়ে নিলেন। আর এখানেই তিনি গতি আর পেসের বৈচিত্রের চূড়ান্ত দেখালেন। প্রথম বলের গতি প্রায় ১৪৩ কিলোমিটার, এরপর আবার ১৩০-এর নিচে নােমিয়ে আনলেন। শেষ দুইটা বল ১৪০-১৪৫ ছুঁয়ে গেল। শেষ বলটায় আউটও হয়ে যেতে পারতেন ভারতীয় অধিনায়ক সুরিয়াকুমার যাদব।

ভারতকে পেলেই যেন তানজিম হাসান সাকিব হয়ে ওঠেন অন্য মানব। ওয়ানডের অভিষেকেই ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়ে জয় এনেছিলেন। টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় কন্ডিশনে নিজের অভিষেক ম্যাচেও প্রথম ওভারেই পেলেন উইকেট।

শুধু উইকেট দিয়ে আসলে তানজিম সাকিবকে বোঝানো মুশকিল। প্রথম দুই ওভারে তিনি গতির ঝড় আর পেসের বৈচিত্রে বিপর্যস্ত করেছেন ভারতকে।

শুরুটা অবশ্য দারুণ হয়েছিল ভারতের। মেহেদী হাসান মিরাজের প্রথম ওভারেই ভারত তুলে ফেলে ১৫ টি রান। তবে, পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের প্রত্যাবর্তনের শুরু এখান থেকেই। দ্বিতীয় ওভারে সাঞ্জু স্যামসনকে ফিরিয়ে দিয়ে শুরু করেন তাসকিন আহমেদ।

তৃতীয় ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমণে আসেন তানজিম। শুরুটা যুতসই ছিল না। ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলেই চার হজম করতে হয় তরুণ এই পেসারকে। তবে, শেষ ডেলিভারিতে তিনি গোটা ভারতবর্ষকেই চমকে দিলেন।

ইনসাইড এজ থেকে বোল্ড হয়ে ফিরলেন আইপিএল দানব অভিষেক শর্মা। আর স্পিড মিটার দেখে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। গতি ১৪৭.২ কিলোমিটারে গিয়ে ঠেকল। এত জোরে আগে কখনও কি বল করেছেন তানজিম সাকিব? স্মৃতি প্রতারণা না করলে, তানজিম সাকিবের গতির এমন ঝড় এটাই প্রথম।

পঞ্চম ওভারে তানজিম নিজেকে আরও গুছিয়ে নিলেন। আর এখানেই তিনি গতি আর পেসের বৈচিত্রের চূড়ান্ত দেখালেন। প্রথম বলের গতি প্রায় ১৪৩ কিলোমিটার, এরপর আবার ১৩০-এর নিচে নােমিয়ে আনলেন। শেষ দুইটা বল ১৪০-১৪৫ ছুঁয়ে গেল। শেষ বলটায় আউটও হয়ে যেতে পারতেন ভারতীয় অধিনায়ক সুরিয়াকুমার যাদব।

তবে, এর জন্য অতিমানবীয় ফিল্ডিং করতে হত উইকেটরক্ষক লিটন দাসকে। যদিও, পরের ওভারেই মুস্তাফিজের বলে সাজঘরে ফিরে যান সুরিয়া। আর এর ক্ষেত্রটা প্রস্তুত করে গেছেন তানজিমই।

Share via
Copy link