নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সুপার এইট প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে বাংলাদেশ; এর আগে শ্রীলঙ্কাকেও হেরেছে বাংলাদেশের কাছে। আর মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে টাইগার – তিন ম্যাচের সেরা পারফরমারদের কথা বললে রিশাদ হোসেন, তানজিম সাকিব কিংবা মুস্তাফিজুর রহমানের নাম আসবে। তবে যেই একজন পারফরমারের নাম আড়ালে থাকবে, তিনি তাসকিন আহমেদ।
প্রতি ম্যাচেই নিজের সেরাটা নিংড়ে দিয়েছেন এই ডানহাতি। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ সমানতালে দলের চাহিদা পূরণ করেছেন। এইতো নেদারল্যান্ডসের ওপেনিং জুটি যখন ভয়ঙ্কর উঠেছিল তখন তিনিই তো ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে এদিন চার ওভারে ৩০ রান খরচায় দুই উইকেট যোগ হয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
আগের দুই ম্যাচেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এই পেসার। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দলপতি এইডেন মার্করামকে আউট করার পর সেট ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেনকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছিলেন তিনি। এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে যার ব্যাট সবসময় চওড়া হয়ে উঠে সেই কুশল মেন্ডিসও তাঁর বলে আউট হয়েছেন।
গ্রুপ পর্বে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন, দারুণ ধারাবাহিকতা বটে। তবে এই ধারাবাহিকতা আজকালকার নয়, গত দুই বছর ধরেই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে দুর্দান্ত ধারাবাহিক হয়ে উঠেছেন তিনি।
সবশেষ কবে ‘ঢাকা এক্সপ্রেস’ উইকেটশূন্য ছিলেন কোন টি-টোয়েন্টিতে সেই উত্তর খুঁজতে গেলে ফিরে যেতে হবে ২০২২ সালে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে অ্যাডিলেডে একবারও উদযাপনের উপলক্ষ আনতে পারেননি তিনি; টাইগাররাও হেরে গিয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকে প্রতি ম্যাচেই কমপক্ষে এক উইকেট হলেও যোগ হয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
একসময়ের স্পিন নির্ভর বাংলাদেশ এখন পেস বিপ্লবের রঙে রঙিন। আর আকাঙ্খিত বিপ্লবের শুরুর দিকের বিপ্লবী ছিলেন এই তারকা। সেসব এখন পুরনো গল্প হয়ে গিয়েছে, এখন তো প্রতিদিনই তিনি নতুন সফলতার গল্প লিখে যাচ্ছেন বাইশ গজে। সাফল্যের পথে তাঁর ভ্রমণ চলতে থাকুক আরো অনেক অনেক বছর, সেটিই আপাতত চাওয়া।