বেলগুলো আকাশে ভাসল খানিক্ষণ। ব্যাটার হতভম্ব। চেহারায় ভয় আর অসহায়ত্ব। দুই হাত মেলে উড়ছেন বোলার। ফাস্ট বোলারদের প্রচণ্ড অ্যাড্রেনালিন হ্রাশ করার এক দৃশ্য।
এই দর্শনীয় দৃশ্যের জনক তাসকিন আহমেদ। বোলিংটাও তেমনই করেছেন তিনি – দর্শনীয় এবং দূর্ধর্ষ! টানা স্পেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডার কিংবা মিডল অর্ডার – সবাই ফিরেছেন তাসকিনের বলে।
ব্যাটসম্যানরা বোল্ড হচ্ছেন কেউ, যেমনটা হলেন আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান জাস্টিন গ্রিভস। তাঁর ডিফেন্স ভেঁদ করে বল স্ট্যাম্পের ওপরে আঘাত হানল।
কেউ বা উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন। কাভেম হজ যেমন দিতে বাধ্য হলেন আসলে। তাসকিনের ক্রমাগত ফোর্থ স্ট্যাম্প-ফিফথ স্ট্যাম্প চ্যানেলের বলের বিপক্ষে তাঁর আর কোনো উপায়ও ছিল না। ক্যাচ ধরলেন লিটন দাস, টেস্ট ক্রিকেটে নিজের শততম ক্যাচের মাইলফলকও ছুঁয়ে গেলেন লিটন।
তবে, এই গল্পের নায়ক তাসকিন আহমেদ। গ্রিভসকে বোল্ড করার আগের ওভারেই তাঁর শার্প একটা ডেলিভারি অল্পের জন্য ব্যাটারের ব্যাট ছুঁয়ে গেল না। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনার ঠোঁটটাও গোল হয়ে সরু হয়ে গেল, যেন আক্ষেপ করে বলতে চাইলেন, ‘ইশ! মাছটা ফঁসকে গেল!
অবশ্য মাছ ফসকাতে দেননি তাসকিন। পরের ওভারেই বোল্ড করে ফিরিয়েছেন। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের শুরুর দুই আঘাতটাও তিনিই হানেন। সাথে যোগ হন শরিফুল ইসলাম আর দুই স্পিনার। অ্যান্টিগার স্টেডিয়াম বারবার তাসকিনদের উদ্দাম উল্লাসেই মাতোয়ারা হল!