শুরুতেই বাজিমাত। রবিন উথাপ্পা, ইয়ন মরগানদের মত ব্যাটারদের বিপক্ষে, শুরুর এক ওভারে মাত্র এক রান খরচায় এক উইকেট শিকার। ঠিক সেখান থেকেই দলকে ম্যাচের মোমেন্টাম এনে দেন তাসকিন আহমেদ। তার হাত ধরে টুর্নামেন্টে শুভ সূচনা বুলাওয়ে ব্রেভসের।
জাতীয় দলের প্রতি তার নিবেদন সর্বোচ্চ। তাইতো চাইলেও আকর্ষনীয় সব ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ খুব সহসাই মেলে না তাসকিন আহমেদের। তবে এবার বাংলাদেশের খেলা নেই প্রায় দেড় মাস। এর মাঝে নিজেকে নতুন চ্যালেঞ্জ জানানোর আরও একটি সুযোগ পেয়ে গেলেন তাসকিন আহমেদ।
জিম অ্যাফ্রো টি-টেন টুর্নামেন্ট থেকে ডাক পেলেন। এমনকি বুলাওয়ে ব্রেভস দলের হয়ে প্রথম ম্যাচের একাদশেও সুযোগ পেয়ে যান তাসকিন আহমেদ। তার দল প্রথমে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের নিমন্ত্রণ পায়। যেহেতু মাত্র ১০ ওভারে খেলা, তাইতো শুরু থেকেই মারকুটে থাকতে হয়েছে দলে থাকা প্রতিটা ব্যাটারকে।
সে পন্থায় উইকেটও হারিয়েছে বুলাওয়ে ব্রেভস। বেশ ক’বার হারারে হারিকেন্সের বোলাররা হ্যাট্রিকের সুযোগ তৈরি করলেও হ্যাট্রিকের দেখা পাননি। সে কারণেই ব্যাট হাতে লোয়ার অর্ডারে নামতে হয়েছিল তাসকিন আহমেদকে। নয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তাসকিন আহমেদ খেলেন ৩ বল। একটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪ রান করেন তাসকিন।
তবে তাসকিনের মূল দায়িত্বটাই ছিল বল হাতে। দলের দেওয়া ১২৯ রানের টার্গেট ডিফেন্ড করতে বাকিদের সহয়তাই করতে হতো বাংলাদেশের পেস সেনশেসনকে। তাছাড়া বুলাওয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজার প্রচণ্ড আস্থাও ছিল তার উপর।
সে কারণেই ইনিংসের শুরুতেই বল রাজা বল তুলে দেন তাসকিনের হাতে। প্রথম ওভারেই নিজের সামর্থ্যের জানান দেন তাসকিন। বলের গতির মিশ্রনে তুলে নেন রবিন উথাপ্পার উইকেট। খরচ করেন মাত্র ১ রান। বুলাওয়েকে যেন জয়ের দিকে একধাপ এগিয়েই দেন টাইগার এই ‘স্পিডস্টার’।
এরপর নবম ওভারে তিনি যখন বল হাতে এলেন, তখন দলের জয় সুনিশ্চিত। তবুও তাসকিন আহমেদ থাকতে চাইলেন কম খরুচে। মাত্র ছয় রান খরচা করলেন তিনি তার দ্বিতীয় ওভারে। দুই ওভারে মাত্র ৭ রান খরচায় এক উইকেট শিকার করেই নিজের জিম অ্যাফ্রো টি-টেন টুর্নামেন্টের যাত্রা শুরু করেন তিনি।