দীর্ঘ ১০ বছর পর শিরোপার স্বাদ পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর পেছনে নাকি ছিল একটা ব্ল্যাঙ্ক চেক। শাহরুখ খানের এই প্রস্তাবেই কলকাতার শিবিরে ফেরেন গৌতম গম্ভীর। বাকিটা ইতিহাস!
ফাইনালের পর মাঠে গম্ভীরকে রিঙ্কু সিংয়ের প্রণাম করাই বলে দেয় এই শিরোপা জয়ে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। ২০১৪ সালের পর তার ধরেই যে আবার শিরোপা জিতল দলটি। শেষ ২০১৪ সালে কেকেআর যখন শিরোপা জেতে তখন দলটির অধিনায়ক ছিলেন গম্ভীর। আর ২০২৪ এ এসে তিনি দলটিকে শিরোপা জেতালেন মেন্টর হয়ে।
আইপিএলের শুরু থেকেই অন্যতম জনপ্রিয় দল হয়ে উঠে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে টানা তিন মৌসুম প্লে-অফে না পৌঁছানোর গ্লানি নিয়ে বেড়ায় দলটি। ফলে ২০১১ মেগা নিলামে যুগান্তকারী এক সিদ্ধান্ত নেয় কেকেআর। কোলকাতার বরপুত্র সৌরভ গাঙ্গুলির ছেড়ে দলটির অধিনায়ক করা হয় গৌতম গাম্ভীরকে। যার ফল হাতেনাতে পেয়ে যান কলকাতা। প্রথম মৌসুমেই গাম্ভীর দলকে নিয়ে যান প্লে-অফে।
তবে গম্ভীরের প্রথম বড় সাফল্য আসে ২০১২ সালে। প্রথমবারের মতো কোলকাতা নাইট রাইডার্সকে শিরোপা জেতান তিনি। যে দলটি প্রথম তিন মৌসুমে প্লে-অফ পার করতে পারেনি সেই দলটিকে নিজের দ্বিতীয় মৌসুমেই চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে ফেলেন গৌতম গম্ভীর। তার জয়রথ শুধু এখানেই থেমে থাকে না।
২০১৪ মৌসুমে আবারও গম্ভীরের হাত ধরে শিরোপা জেতে দলটি। ২০১১ থেকে ২০১৭, সাত মৌসুম কেকেআরের নেতৃত্ব দেন তিনি। যেখানে ২ টি শিরোপা সহ ৫ মৌসুমেই দলকে তুলেছিলেন প্লে-অফে। ২০১৮ মৌসুমে গাম্ভীর চলে যান দিল্লিতে। এক মৌসুম পর খেলা ছেড়ে দিয়ে হয়ে যান মেন্টর, এমনকি লখনৌকে নিয়ে যান প্লে-অফে।
যেখানে ছয় মৌসুমে কলকাতার সাফল্য বলতে একবার প্লে-অফ ও একবার রানার-আপ। দল পরিবর্তন, অধিনায়ক পরিবর্তন কোনো কিছুইতেই যেন মিলছিল না সাফল্য। তাই তো গম্ভীরকে ফিরতে দলের মালিক শাহরুখ খান নিজেই অনুরোধ করলেন।
তিনি ফিরলেন, গত বছরের নড়বড়ে দলে সামান্য পরিবর্তন করে মেন্টর হিসেবে প্রথম মৌসুমেই কলকাতাকে এনে দিলেন শিরোপা। গম্ভীর জানতেন কিভাবে দলকে এক সূত্রে গাঁথতে হয়। তার কাছে ব্যাক্তিগত সাফল্যের থেকে দলগত সাফল্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন একমাত্র দলগতভাবে খেললেই সাফল্য আসবে। আর তিনি তা আবারও প্রমাণ করলেন।