মনে করুন আপনি যেকোনো টি-টোয়েন্টি লিগে একটা দলের হয়ে খেলছেন; এখন আপনার দলকে পরের রাউন্ডে যেতে শেষ ম্যাচ জিততেই হবে। এই অবস্থায় এজেন্ট ফোন করে বললো আরেকটি লিগের একটি দল আপনাকে দলে নিতে চায় কিন্তু সেজন্য আপনাকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতে হবে?
ঠিক এই পরিস্থিতিতে কেমন বোধ করবেন আপনি? নিয়মিত এমন অদ্ভুত অবস্থার মুখোমুখি হতে শুরু করেছেন ক্রিকেটাররা; দেখা যাচ্ছে এসএ টি-টোয়েন্টি থেকে নিজের দল বাদ পড়তেই আইএল টি-টোয়েন্টি বা বিপিএল খেলার জন্য ছুটছেন তাঁরা। জেমস নিশাম, স্যাম কারান, লিয়াম লিভিংস্টোনের মত তারকারাও ব্যতিক্রমী নন।
অর্থনৈতিক কারণেই মূলত ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগাতে চান ক্রিকেটাররা। এটা বলা যাবে না যে, অন্য লিগে খেলার জন্য তাঁরা এখন ইচ্ছে করে বাজে পারফরম করছেন। কিন্তু যখন একটা লিগ শেষে আরেক লিগে যোগ দেয়ার তাড়না থাকবে তখন মানসিকভাবে কতটা ফিট থাকা সম্ভব?
ক্রিকেটাঙ্গনে নতুন করে সৃষ্টি হওয়া এই সমস্যা সমাধান করার উপায় অবশ্য আছে। সেজন্য মানতে হবে কিছু নিয়ম, অনুসরণ করতে হবে আরো কিছু পরামর্শ।
প্রথমেই বেতন কাঠামো ঠিক করা যেতে পারে। বর্তমানে অধিকাংশ লিগেই ক্রিকেটাররা মোট পারিশ্রমিকের বড় একটা অংশ এককালীন পেয়ে যান। বাকিটা ম্যাচ ফি হিসেবে বা বোনাস হিসেবে পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে যদি উল্টো ব্যবস্থা করা হয় অর্থাৎ ম্যাচ ফি-র পরিমাণ বাড়িয়ে এককালীন অর্থের পরিমাণ কমানো হয় তাহলে এক লিগ থেকে বাদ পড়ে আরেক লিগে খেলার তাড়না কমবে নিশ্চিতভাবেই।
ক্রিকেটারদের সাথে ফ্রাঞ্চাইজির চুক্তিতে সময়ের ব্যাপারটি উল্লেখ করা যেতে পারে। এর মানে, কোন ক্রিকেটার একটি লিগে খেলতে সম্মত হলে ওই লিগ শেষ হওয়া পর্যন্ত অন্য কোথাও কোন দলের হয়ে খেলতে পারবেন না। একই সাথে হুটহাট কোন ক্রিকেটারকে দলে নেয়ার পথ বন্ধ করতে হবে। ব্লাস্ট লিগে নকআউট পর্বে কেউ খেলগে হলে গ্রুপ পর্বের অন্তত একটা ম্যাচ তাঁকে দলের সঙ্গে থাকতে হয়, এই নিয়মটি বিশ্বব্যাপি চালু করা যেতে পারে।
আবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এনওসি লিমিট সিস্টেম অনুসরণ করতে পারে অন্যান্য বোর্ডগুলো। নির্দিষ্ট উইন্ডোতে পিসিবি ক্রিকেটারদের নির্দিষ্ট সংখ্যক লিগে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়, এমন নিয়ম বাকিরা আরোপ করলে তারকাদের একটার পর একট টুর্নামেন্ট খেলা বন্ধ হবে।