রেকর্ড ২৪.৭৫ কোটি রুপিতে মিচেল স্টার্ককে দলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু বিশাল মূল্যের প্রতিদান দিতে পারছেন না তিনি।
দুই ম্যাচ খেলে ১২.৫ ইকোনমিতে দিয়েছেন ১০০ রান, বিনিময়ে নিতে পারেননি একটা উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এমন ফর্ম দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে টিম ম্যানেজম্যান্টের। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি স্টার্ককে এত বিপুল অর্থ দিয়ে কিনে ভুল করল কেকেআর?
এই পেসারকে দলে নেয়ার মূল কারণ ছিল পাওয়ার প্লে ও ডেথ ওভারে নির্ভরশীল একজন বোলার পাওয়া। কিন্তু সত্যি বলতে, ২০২০ সালের পর থেকে তিনি পুরনো ছন্দ হারিয়ে ফেলেছেন।
বিশেষ, করে রঙিন পোশাকে আগের সেই বিধ্বংসী রূপে দেখা যায়নি তাঁকে। সেজন্য ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ বিশ্বকাপে তাঁর কাছ থেকে প্রত্যাশামাফিক পারফরম্যান্স পায়নি অস্ট্রেলিয়া।
২০১৮ সালে এই বাঁ-হাতি গোড়ালির দীর্ঘস্থায়ী চোটে পড়েছিলেন। এরপর ক্যারিয়ারকে দীর্ঘস্থায়ী করতে নিজের বোলিং অ্যাকশনে কিছুটা পরিবর্তন আনেন তিনি, যার প্রভাব পড়ে বোলিংয়ে। নিখুঁত ইয়র্কার করার ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, কার্যকরী সুইং পেতেও সমস্যায় পড়তে হয় তাঁকে।
একটা সময় যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকাই ছিল দু:সাহসের কাজ, তাঁর বিরুদ্ধে এরপর সহজেই রান করেছেন ব্যাটাররা। তবু এই তারকার উপর ভরসা রেখেছে কলকাতা; তাঁদের লাইন আপে উইনিং মেন্টালিটির একজন অভিজ্ঞ বাঁ-হাতি বোলার প্রয়োজন ছিল, সেজন্য রেকর্ড পরিমাণ অর্থ খরচে কার্পণ্য করেনি দলটি।
তাহলে এখন সমাধান কি, মিচেল স্টার্ক কি পুরো মৌসুম জুড়েই দুই হাতে রান বিলিয়ে যাবেন? মোটেই না, লম্বা সময় টি-টোয়েন্টিতে অধারাবাহিক থাকা এই পেসার টানা বোলিং করলে নিশ্চয়ই সেরা ছন্দের কাছাকাছি যেতে পারবেন।
সেটির জন্য অবশ্য নিজের লাইন লেন্থ নিয়ে কাজ করতে হবে এই অজি ক্রিকেটারকে। কেবল ইয়র্কার আর ইনসুইংয়ের উপর নির্ভর না হয়ে লেন্থ ও গতির বৈচিত্র্যের প্রতি মনোযোগী হতে হবে।
আরো স্পষ্ট করে বললে, শর্ট ও গুড লেন্থ ডেলিভারির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এখন দেখার বিষয়, ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে নিজেকে ভেঙেচুরে গড়তে কতটুকু চেষ্টা করেন তিনি।