চোখের সমস্যা আর সাকিব এখন টক অব দ্য টাউন – প্রতি ম্যাচেই সাকিবের আউটের পর তাঁর চোখের সমস্যাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। তোলা হবেই না বা কেন, এজন্যই তো তাঁকে স্ট্যান্স বদলে ব্যাটিং করতে হচ্ছে। বোলার যখন বল রিলিজ করেন তখন তাঁর হেড পজিশন আর চোখের দৃষ্টি লক্ষ্য করলেই ব্যাপারটি বোঝা যায়।
শরীরের সামনের দিক থেকে বল আসলেও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের দৃষ্টি থাকছে কোনাকুনি অবস্থানে। আবার কিছুক্ষণ পরেই তাঁকে দৃষ্টি স্থির রাখার হেলমেট ঠিক করতে হচ্ছে। চোখের সমস্যায় আসলে তিনি কতটা ভুগছেন সেটা সহজে অনুমান করা যায় এসব দেখে।
ম্যাচ কিংবা অনুশীলন – ব্যাটে বলে ঠিকঠাক টাইমিং করতে না পারা, বড় শট এক্সিকিউট না করতে পারা এই দৃশ্যগুলোই ঘুরেফিরে দেখছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। সিলেট পর্বের দ্বিতীয় দিন রংপুর রাইডার্স এর ম্যাচে তো আরো ভয়াবহ অবস্থা, আট উইকেটের পতন ঘটা সত্ত্বেও ব্যাটিং করতে নামেননি। অর্থাৎ দলে এখন তিনি শুধুই একজন বোলার।
এই পরিস্থিতি থেকে বেরুতে হলে আমূল পরিবর্তন করতে হবে সাকিবের ব্যাটিং স্টাইলে। চোখের সমস্যার কারণে তাঁর হেড পজিশনে এনে সেটার সাথে মানিয়ে নিতে হবে। সেজন্য প্রয়োজন বেশি বেশি ব্যাটিং অনুশীলন।
বোলিংটা এই বাঁ-হাতির জন্য সহজ, বল হাতে তাই তেমন একটা সমস্যা হয় না। তবে ব্যাটিংয়েই হচ্ছে যত বিপত্তি। বড় শট খেলার সময় ব্যাটে বল কানেক্ট করাই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে তার জন্য। টাইগার ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকার এমন অস্বস্তি মোটেই স্বাভাবিক নয়। এমন অবস্থা দেখে তাঁর সমাপ্তিও লিখে ফেলছেন অনেকে।
কিন্তু, সাকিব আল হাসান নিজে না চাইলে সমাপ্তি রেখা টানা কঠিন হবে। হয়তো দ্রুতই ফিরবেন তিনি স্বরূপে। অবশ্য শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না, ক্লান্ত হয়ে ফেরার আশা ছেড়েও দিতে পারেন নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার। সব মিলিয়ে সাকিবের গল্পটা এখন স্রেফ এক ডানা কাটা পরীর, যিনি একসময় উড়তে জানতেন – মুগ্ধ করতে জানতেন।