টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়িয়েছে। অপেক্ষাকৃত খর্বশক্তির দলগুলো দূর্দান্ত পারফরমেন্সে নিজেদের দিকে নজর কেড়ে নিতে শুরু করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সমর্থকরা বড্ড বেশি সন্দিহান দলকে নিয়ে। দলের সাম্প্রতিক অবস্থান বেজায় নড়বড়ে। তবে বিশ্বকাপ থেকে আর্থিক লাভবান হওয়া অবশ্য বাধাগ্রস্ত হবে না বাংলাদেশের।
বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি জানিয়েছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আর্থিক পুরষ্কারের অংক। আগের দুই বারের তুলনায় এবারের অর্থের পরিমাণ হয়েছে দুইগুণ। কোন ধরণের ম্যাচ না খেলেই বাংলাদেশ পেতে চলেছে বিশাল এক অংকের অর্থ পুরষ্কার।
১৩-২০ অবস্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করা দল পাবে ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার করে পাবে। সে বিবেচনায় স্রেফ অংশগ্রহণ করেই প্রায় ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা পেতে চলেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ততটুকুতেই নিশ্চয়ই সন্তুষ্ট থাকতে চাইবে না টাইগাররা। কেননা ৯-১২ অবস্থানে শেষ করতে পারলে পাবে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ ডলার।
এই অর্থের বাইরেও নিজেদের অর্থ পুরুষ্কারের পরিমাণ বাড়ানোর দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। প্রতিটা ম্যাচ জয়ের জন্যে ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার করে পাবে দলগুলো। বাংলাদেশ নিশ্চয়ই বেশ কয়েকবার এই সংখ্যাটা নিজেদের নামের পাশে যুক্ত করতে চাইবে।
তাছাড়া সুপার এইট রাউন্ডে পৌঁছাতে পারলে বাংলাদেশ দল অর্জন করতে পারবে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার। যদি বাংলাদেশ সেমিফাইনাল অবধি পৌঁছে যায় তবে আর্থিক পুরষ্কারের সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। কেননা সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দুই দলকে দেওয়া হবে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ ডলার করে।
তাছাড়া বিগত আসর গুলো থেকে এবারের আসরে বাড়ানো হয়েছে চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি। গেল দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছিল ১৬ লাখ ডলার। এবারের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। আর রানার্সআপ দল পাবে ১২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। গেল দুই আসরের তুলনায় অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বেড়েছে। এবারে প্রথমবারের মত ২০ দল অংশ নিচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।