দুর্দান্ত-দুর্ধর্ষ রবি বিষ্ণয়

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল, ক্যাচ নিতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিলেন। ফলে বলটা এসে পড়েছিল রবি বিষ্ণয়ের ঠিক চোখের নিচে – রক্ত আর ব্যান্ডেজ নিয়েই বাকি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। পরের ম্যাচে সেটা বোধহয় তাতিয়ে দিয়েছিল তাঁকে। তাই তো তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গেলো মনে রাখার মতই একটা স্পেল।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আরো একবার ঝলক দেখালেন এই স্পিনার; চার ওভার হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন তিন তিনটি উইকেট, বিনিময়ে খরচ করেছেন মাত্র ২৬ রান। তাঁর এমন বোলিংয়ের কারণেই দারুণ সূচনা সত্ত্বেও বড় পুঁজি গড়তে পারেনি লঙ্কানরা।

চতুর্থ বোলার হিসেবে এদিন সপ্তম ওভারে আক্রমণে এসেছিলেন এই ডানহাতি, সেই ওভারে উইকেট না পেলেও নিজের দ্বিতীয় ওভারে ঠিকই পাথুম নিশাঙ্কার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। তিনি সবচেয়ে বড় কাজের কাজটা করেছেন সতেরোতম ওভারে, দাসুন শানাকা আর ওয়ানিন্দু হাসারাঙাকে পর পর দুই বলে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের এলোমেলো করে দিয়েছেন। তাঁর সেই ওভার থেকে এসেছিল মাত্র তিন রান!

লেগ স্পিন আর গুগলি তো ছিলোই, বিষ্ণয় লাইন লেন্থ আর গতির ভ্যারিয়েশনেও নজর কেড়েছেন। কখনো ফ্লাইট দিয়েছেন একটু বেশি, কখনো আবার লেন্থ খানিকটা ছোট করেছেন – ফলে ছন্দে থাকা ব্যাটাররাও সহসা বুঝে উঠতে পারেনি তাঁর বোলিং। আর তাতেই যা হওয়ার হয়েছে।

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা হয়নি এই তরুণের; কুলদীপ যাদব আর যুজবেন্দ্র চাহালের ওপরেই ভরসা রেখেছিল ভারত। তবে তাঁর সামর্থ্য নিয়ে সংশয় ছিল না কখনোই, তাই তো বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে তাঁকে ঘিরে সাজানো হয়েছে ভারতের স্পিন বিভাগ। ধারাবাহিক পারফরম করার মধ্য দিয়ে আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন তিনি।

আগামী বিশ্বকাপে দলকে জেতানোর দায়িত্ব নিশ্চয়ই এই তারকার কাঁধেই থাকবে; স্কিড ডেলিভারিতে যেমন ব্যাটারকে নাড়িয়ে দেন তিনি, সেভাবেই চোখের পলকে প্রতিপক্ষকে নাড়িয়ে দিবেন সেটাই প্রত্যাশা সবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link