একের পর এক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের। যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে বিভিন্ন বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে অজিদের।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন খেলোয়াড় প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাত্রা ভোগান্তিপূর্ণ যাত্রাতে পরিণত হয়েছে। কামিন্সের স্ত্রী জানান যে, তাদেরকে সিডনি থেকে বার্বাডোজ পৌঁছাতে বেশ কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। এই যাত্রা সম্পূর্ণ করতে তাঁদের সময় লেগেছে দুই দিন আর এর মাঝেই তাঁদের ব্যাগও হারিয়ে গিয়েছিল।
পরবর্তীতে যদিও তাঁরা তাঁদের ব্যাগ ফিরে পায়। তবে ফ্লাইটের সময় বিলম্ব আর বাতিলের মধ্যেই তাঁদের ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যায়। কামিন্স ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শেষ করে অস্ট্রেলিয়াতে ফিরে যায়। একই কাজ করেন মিচেল স্ট্রার্ক এবং গ্ল্যান ম্যাক্স ওয়েলও। তাই তাঁদেরকে একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।
আর এই কারণে অধিনায়ক মিচেল মার্শকে ওয়ার্ম আপ ম্যাচে কোচ-স্টাফদের সাহায্য নিতে হয়। তবে দলের বাকি সদস্যরা ক্রুজে বসে সূর্যাস্ত উপভোগ করছে। অ্যাগার বলেন, ‘দলের বেশ কয়েকজন সদস্যই আইপিএল খেলে এসেছে। তাই তাঁদের বিশ্রাম নেয়া প্রয়োজন।’
তবে অস্ট্রেলিয়া যে বিশ্বকাপ জিততে এসেছে তা তিনি আবারও স্মরণ করে দেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বিশ্রাম পর্ব শেষ হলে, সবাইকে ট্রেনিং সেশনে অংশগ্রহন করা উচিত। মার্কাস স্টইনিস বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। সে বলে, ‘আমি জানি না অন্যান্য দলগুলোও কি আমাদের মত এমন ভাবে সময় কাটাচ্ছে কি না?’
তবে বিশ্রামের সময়সীমা অতিক্রমের বিষয়ে এই অস্ট্রেলিয়ান আরও বলেন, ‘ছাদে বসে সূর্যাস্ত দেখা, সতীর্থদের সাথে ভালো সময় কাটানো, এসব কিছুই বিশ্বকাপের কথা ভুলিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।’
তবে দিনশেষে এ দলটা অস্ট্রেলিয়া। যাদের মানসিকতা বেশ উন্নত মানের। তাঁরা মুহূর্তেই পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা রাখে। তাঁদের ঝুলিতে রয়েছে অসংখ্য শিরোপা। এবারও তাঁরা বিশ্বকাপ নিয়েই বাড়ি ফিরতে চাইবে।