ঈশান কোনে জমেছে ‘থান্ডারবোল্ট’

মিরপুর একাডেমি মাঠে ট্রেন্ট বোল্টও ঝালাই করে নিচ্ছেন। তবে তার বিপক্ষে সতীর্থ ব্যাটাররাই ছিলেন বড্ড অস্বস্তিতে।

ছিমছাম রান আপ। ক্রমশ দৌড়ের গতি বেড়ে ছোড়া বল। লেগ স্ট্যাম্প বরাবর পিচ করে সোজা গিয়ে আঘাত করে স্ট্যাম্পে। ব্যাটার যেন ধোঁয়াশার মধ্যে থেকে যান। ট্রেন্ট বোল্টের ছোড়া এধরণের বলগুলোই আসলে তার ট্রেডমার্ক। দ্রুতগতির বল মুহূর্তের মধ্যেই ছুঁয়ে ফেলবে স্ট্যাম্প। উল্লাসে ভাসবে গোটা ব্ল্যাকক্যাপস শিবির।

নিউজিল্যান্ড দল নিজেদের অনুশীলনে ব্যস্ত মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে। মিরপুর একাডেমি মাঠে ট্রেন্ট বোল্টও ঝালাই করে নিচ্ছেন। তবে তার বিপক্ষে সতীর্থ ব্যাটাররাই ছিলেন বড্ড অস্বস্তিতে। একের পর এক শরীর ঘেষা বলগুলো খেলতে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়ার কথা। তিনি তার সতীর্থদেরই ছাড় দেননি এক ছটাক। দূর্দান্ত লাইন আর লেন্থে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিলেন সবাইকে।

এমন একজন দূর্দান্ত পেস বোলারকে বিশ্বকাপে মঞ্চে না দেখতে পারাটা হতো দুঃখজনক। তবে তেমনটি হচ্ছে না তাকে দলে রেখেই বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট।

বছরখানেক আগে বেশ কঠিন এক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন বোল্ট। তিনি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করেন। পরিকল্পনা ছিল নিজের মত করে বিশ্বের আনাচে-কানাচে ক্রিকেট খেলে বেড়ানো।সেখান থেকেই মূলত শঙ্কা জেগেছিল বিশ্বকাপের স্কোয়াডে না থাকার। কেননা প্রায় এক বছর যাবৎ কোন ধরণের ওয়ানডে ক্রিকেটে দেখা মেলেনি তার। শঙ্কার কালো মেঘ হয়েছিল আরও বেশি ঘনিভূত।

তবে হুট করেই বোল্টের আকাশ হয়েছে পরিষ্কার। সূর্যের তীব্র আলোর মতই এখন তার বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ স্পষ্ট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে আবারও ব্ল্যাকক্যাপসদের জার্সি গায়ে চড়িয়েছেন তিনি। খেলেছেন নিজের ক্যারিয়ারের ১০০ তম ম্যাচও।

সেই ধারা অব্যাহত থাকছে বাংলাদেশ সিরিজেও। গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের রানার্সআপ দল আরও একটি বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে বাংলাদেশে করছে অবস্থান। ইনজুরির আশঙ্কা থেকে মূল দলের অনেক খেলোয়াড়ই থাকছেন না দলে।

তবে লোকি ফার্গুসনের নেতৃত্বাধীন দলে সংযুক্ত করা হয়েছে ট্রেন্ট বোল্টকে। যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে ওয়ানডে ফরম্যাট খেলা হয়নি তার। তাইতো ম্যাচ প্রস্তুতির রয়েছে বড্ড প্রয়োজন। ঠিক সে কারণেই তাকে রাখা হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। লোকি ফার্গুসনের সাথে জুটি বেঁধে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারকে তছনছ করবার প্রস্তুতিই নিচ্ছেন তিনি।

তাকে সামাল দেওয়াটাই হবে বাংলাদেশী ব্যাটারদের মূল চ্যালেঞ্জ। অন্তত অনুশীলনে তার ছোড়া বলগুলো খানিক ভয় ধরানোর জন্যে যথেষ্ট। বাংলাদেশী ব্যাটারদের তাই থাকতেই হবে বাড়তি সতর্ক।

তবে বোল্ট হয়ত নিজের সর্বোচ্চটুকুই দিতে চাইবেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। বিশ্বকাপের পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই তিনি পা রাখতে চাইবেন ভারতের মাটিতে। ২০১৯ সালের সেই অধরা শিরোপা এবার অন্তত ছুয়ে দেখতে চাইবেন মিস্টার ‘থান্ডারবোল্ট’।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...