ট্রিস্টান স্টাবস, বাবার জন্য হকি ছেড়ে ক্রিকেটে

হকিতে পয়সা নেই- এই একটা মনোভাবই আজকে ট্রিস্টান স্টাবসকে নিয়ে এসেছে ক্রিকেটের দুনিয়াতে।

হকিতে পয়সা নেই – এই একটা মনোভাবই আজকে ট্রিস্টান স্টাবসকে নিয়ে এসেছে ক্রিকেটের দুনিয়াতে। অথচ তার আজ হওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার হকি তারকাদের একজন। তবে নিয়তি আর বাবার দিকনির্দেশনায় ক্রিকেটকে আলিঙ্গন করে নেন ট্রিস্টান স্টাবস।

স্ট্রিস্টান স্টাবসের বাবা ছিলেন একজন হকি খেলোয়াড়। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাদেশিক দলের হয়ে তিনি হকি খেলেছেন নিয়ম করেই। ঘরোয়া হকি সার্কিটে বেশ প্রসিদ্ধ নাম হওয়া সত্ত্বেও ক্রিস কখনোই জাতীয় দলের গণ্ডিতে পা রাখতে পারেননি।

তবে একজন সন্তানের কাছে তো তার বাবাই প্রথম রোল মডেল। বাবার দেখাদেখি ট্রিস্টান ট্রাবস ছেলেবেলায় হাতে তুলে নিয়েছিলেন হকি স্টিক। দীর্ঘদিন হকি অনুশীলনও করেছেন। বাবা ক্রিস মূলত নিজেই তদারকি করেছেন ছেলের এই পুরো যাত্রা পথ। তার কথা মেনেই ট্রিস্টান আজ ক্রিকেট দুনিয়ার উজ্জ্বল তারকাদের একজন।

তার বাবা ক্রিস, চেয়েছিলেন ট্রিস্টান যেন হকি দিয়েই নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের যাত্রাটা শুরু করে। কেননা হকি অনুশীলন বেশ কষ্টসাধ্য। এই অনুশীলনে মাংশপেশির শক্তি বাড়ে, টাইমিং ঠিকঠাক হয়, বল নিয়ন্ত্রণের দক্ষতাও বাড়ে। সে সকল অনুশীলন আজ ক্রিকেটের দুনিয়াতে কাজে লাগাচ্ছেন ট্রিস্টান স্টাবস।

তার ব্যাটের সুইং, দারুণ হ্যান্ড-আই কম্বিনেশন হকির অনুশীলন থেকেই আয়ত্ব করা। তার বাবা ক্রিস, ছেলেকে ক্যারিয়ার সুইচ করতে সহয়তা করেছেন, দিয়েছেন দিকনির্দেশনা। হকি খেলে ছেলের ভবিষ্যত হয়ে যেতে পারে অনিশ্চিত। কেননা হকি-তে সেই অর্থে নেই কোন আর্থিক স্বচ্ছলতা।

এ বিষয়ে ক্রিস বলেন, ‘হকিতে অর্থ নেই। হকি কঠোর পরিশ্রম এবং মজার, কিন্তু এটি কোন পেশা নয়।’ দীর্ঘদিন ধরে হকি খেলা একজন খেলোয়াড় যখন এই কথা অকপটে বলে ফেলেন, তখন নিশ্চয়ই দ্বিমত করবার উপায় নেই খুব একটা। তাইতো ট্রিস্টানও দ্বিমত করেননি। পেশাদার ক্যারিয়ার গড়তে ক্রিকেটকেই বেছে নেন।

এখন দিব্যি তিনি অর্থ উপার্জন করছেন। খেলে বেড়াচ্ছেন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত। বাবার জীবনের অপূর্ণতা পূরণও করেছেন, ক্রিকেটে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করে। এখন দেখবার পালা বাবার দিকনির্দেশনায় ক্রিকেটকে আকড়ে ধরা ট্রিস্টান ক্যারিয়ারকে নিয়ে যেতে পারেন ঠিক কতটুকু উচ্চতায়।

Share via
Copy link