লিওনেল মেসি বিশ্বসেরা, লিওনেল মেসি সর্বকালের সেরা – এই কথা তিনি যখন বিশ্বকাপ জিতেছিলেন সেবারই সত্য বলে প্রমাণিত হয়। ইন্টার মিয়ামি তো সে তুলনায় নস্যি – এখানে তিনি যে নিত্য নতুন কীর্তি গড়বেন তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
একই দিনেই আর্জেন্টিনার হয়ে প্রত্যাবর্তনের খবর শুনেছেন মেসি। সেই সুসংবাদের মধ্যেই ইন্টার মিয়ামির হয়ে মৌসুমের সবচেয়ে বড় ম্যাচটা জিতলেন মেসি। তাও একটা নয় – জোড়া গোল করে।
লিওনের মেসি ভিনগ্রহ ছুটে আসা এক পরাবাস্তব আশীর্বাদ। কত-শত বিশেষনেই তো বিশেষায়িত করে যায় এই জাদুকরকে, কিন্তু, সব থেকে বড় বিশেষ কিংবা বিশেষ্য কিংবা সর্বনাম-অব্যয়-ক্রিয়া সম্ভবত একটাই, তিনি লিওনেল মেসি।
ইন্টার মিয়ামির সামনে হিসাবটা ছিল পরিস্কার – জিতলেই সাপোর্টার্স শিল্ড ট্রফি নিশ্চিত। ম্যাচটিও টুর্নামেন্টের সেরা দল কলম্বাস ক্রিউর বিপক্ষে। আর মেসি মানেই তো বড় ম্যাচের তারকা।
কলম্বাসের ঘরের মাঠে তিনি খেললেনই না কেবল – নিজেকে নিয়ে গেলেন আরেক উচ্চতায়। একটা অসাধারণ ফ্রি কিক থেকে ইন্টার মিয়ামিকে ২-৩ ব্যবধানে জেতালেন লিওনেল মেসি। ছবির মত সুন্দর একটা দৃশ্য এই বয়সে এমন ক্ষুরধার পারফরম্যান্স – ভাবা যায়! কতটা অবিশ্বাস্য এই মেসি!
৪৬টি ট্রফি জিতে সর্বকালের সর্বোচ্চ ট্রফি অর্জনের শীর্ষস্থানটা আরও মজবুত করলেন। সত্যি তিনি সর্বজয়ী, দ্য সিরিয়াল উইনার।
২০২৪ কোপা আমেরিকার ফাইনালে আঘাত পাওয়ার পর থেকে মেসিকে জাতীয় দলে দেখা যায়নি। ছিলেন না ইন্টার মিয়ামির সাথেও। সেই বাজে সময় কাটিয়ে মেসি ফিরেছেন। আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই একটা ট্রফি। এবার দুয়ারে আবার আর্জেন্টিনার জার্সি। আরেকটা ইতিহাসও কি ডাকছে না মেসিকে?