ফ্রান্স বধের কাব্য তবুও বিদায়

গ্রুপের দুই ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলা নিশ্চিত করেই রেখেছিলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। আনুষ্ঠানিকতার এই ম্যাচে কোচ দিদিয়ের দেশম দ্বিতীয় সারির দল নামান। তবে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষার এই ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ১-০ গোলে হারিয়ে এক প্রকার চমকই দিলো তিউনিসিয়া।

গ্রুপের দুই ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলা নিশ্চিত করেই রেখেছিলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। আনুষ্ঠানিকতার এই ম্যাচে কোচ দিদিয়ের দেশম দ্বিতীয় সারির দল নামান। তবে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষার এই ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ১-০ গোলে হারিয়ে এক প্রকার চমকই দিলো তিউনিসিয়া।

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সেই আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি চ্যাম্পিয়নরা।খর্ব শক্তির ফ্রান্সকে তারা ভালোভাবেই আটকে রাখছিলো। খেলার শুরু থেকে কিছুটা প্রাধান্য ছিল আফ্রিকার দেশটির। দুই মিনিটের মধ্যে তারা বলও পাঠিয়েছিল ফ্রান্সর জালে। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটা গোল হয়নি। ধীরে ধীরে ফ্রান্স খেলায় ফিরে আসে।

শুরুতে বল পজেশনে তিউনিসিয়া এগিয়ে থাকলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে ফ্রান্সও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে। ৩০ মিনিটে বেল সিলমানের হেড অসাধারণ দক্ষতায় আটককন ফরাসি গোলরক্ষক স্টিভ মানডানডা। ১০ মিনিট পর আবার ফ্রান্সের ত্রাতা হন গোলরক্ষক। এবার তিনি ফেরান তিউনিসিয়ার ওয়াহবি খাজরির শট।

দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণাত্মক আফ্রিকার প্রতিনিধিরা। ৫৮ মিনিটে খাজরি লিড এনে দেন তিউনিসিয়াকে। খর্বশক্তির ফ্রান্স এরপর খেলায় ফেরায় প্রাণপন চেষ্টা চালাতে থাকে। কিন্তু দিদিয়ের দেশমের পরীক্ষা নিরিক্ষাকে ব্যর্থ করে তিউনিসিয়ার গোল মুখ খুলতে পারেনি ফরাসিরা। তবে খেলার অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষে বদলি হিসেবে নামা আন্তোয়ান গ্রিজমান এর গোলে উৎসবে মাতলেও ভিএআর এর সিদ্ধান্তে বাতিল হয় সে গোল। এবারের বিশ্বকাপে গোল বাতিলের ধারায় যোগ হলো আরেকটি গোল।

এতে করে আর খেলায় ফেরা হয়নি ফ্রান্সের। ১-০ গোলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফরাসিরা। ফ্রান্সকে হারালেও তিউনিসিয়ার নজর ছিলো অস্ট্রেলিয়া ডেনমার্ক ম্যাচের দিকে। সেই ম্যাচ ড্র হলে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেত তিউনিসিয়া। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ডেনমার্ককে হারানোয় প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় তারা।

অন্যদিকে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েছিলো ইউরোপিয়ান জায়ান্ট ডেনমার্ক। আগের ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ডেনমার্কের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হতো। ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে ডেনমার্ক। ম্যাচের ১৯ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পায় ডেনমার্ক। মাইহলে ডিবক্সের ভেতর শট নিলেও সেটি অজি গোলরক্ষক রায়ান ফিরিয়ে দেন। ২১ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকগ্রির ভলি শট সোজা গিয়ে পড়ে স্মেইকেলের হাতে। পুরো ম্যাচে মাঝমাঠ দখলে রাখে ডেনমার্ক।

প্রথমার্ধে ৬৮% বল পজিশন নিয়েও তেমন গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ডেনমার্ক। প্রথমদিকে ডেনমার্কের আক্রমণ ঠেকাতে ব্যস্ত থাকলেও ধীরে ধীরে গুছিয়ে আক্রমণে উঠতে থাকে অস্ট্রেলিয়া খেলার ৬০ তম মিনিটে লেকির গোলে ১-০ গোলের লিড নেয় সকারুরা। পিছিয়ে পড়ে আরো আক্রমণাত্মক ডেনমার্ক। তবে সকারুদের রক্ষণ দুর্গ ভাঙতে পারেনি তারা। প্রতি আক্রমণে বেশ কয়েকবার সহজ সুযোগ পায় অস্ট্রেলিয়াও। কিন্তু ফিনিশিং দূর্বলতায় ব্যাবধান বাড়ানো হয়নি তাদের।

গত ইউরোতে চমক দেখানো ডেনমার্ককে এবারের বিশ্বকাপের ডার্কহর্স মনে করছিলেন অনেকেই। তাই প্রথম রাউন্ডে ড্যানিশদের বিদায় অনেকটাই অপ্রত্যাশিতই। ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানারআপ হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়া। সমান পয়েন্ট হলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো ফ্রান্স।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...