বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুলের ব্যাটে ভর করে এবারের বিশ্বকাপে শুভসূচনা পেলো ভারত। দুজনের ১৬৫ রানের জুটির কল্যাণে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে ছয় উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এর আগে দলটির স্পিনাররা দাঁড়াতেই দেননি অজি ব্যাটারদের; জাদেজা, কুলদীপের ঘূর্ণিতে মাত্র ১৯৯ রানেই থেমে যায় তাঁরা।
বড় জয় পেলেও ভারতের টপ অর্ডারের অবস্থা ছিল বিভীষিকাময়। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা আর ঈশান কিষাণ ফিরে গিয়েছেন কোন রান না করেই; এছাড়া চার নম্বরে নামা শ্রেয়াস আইয়ারও খুলতে পারেননি রানের খাতা। সব মিলিয়ে, প্রথম চার ভারতীয় ব্যাটারের তিনজনই এদিন পেয়েছেন ডাক মারার স্বাদ।
প্রথম ওভারেই মিচেল স্টার্কের করা অফ স্ট্যাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন কিষাণ; পরের ওভারে জস হ্যাজলউডের দারুণ বোলিংয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন অধিনায়ক রোহিত। দুই বল পরে একই পথ ধরেন কভারে ধরা পড়া আইয়ার।
এই তরুণ ব্যাটার যখন আউট হন, তখন মাত্র দুই রান জমা হয়েছিল ভারতের স্কোরবোর্ডে। অতীতে কখনোই এত দ্রুত তিন উইকেট হারায়নি টিম ইন্ডিয়া।
আর তাতেই অপ্রত্যাশিত এক রেকর্ডের জন্ম হয়েছে। ভারতের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এবারই প্রথম শুরুর চারজনের মধ্যে তিনজন শূণ্য রানে আউট হয়েছেন। এর আগে কখনোই এমন ব্যাটিং ধ্বসের মুখোমুখি হয়নি দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা, যদিও রাহুল, কোহলির কল্যাণে এবারের মত পরাজয়ের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে তাঁরা।
এছাড়া দুই ওপেনারের ডাক মারার ঘটনাও সাধারণ কোন কিছু নয়। বিশ্বকাপে এই নিয়ে মাত্র সাতবার এই দৃশ্য দেখেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। আর ভারতের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রানের খাতা না খুলেই ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন – এমনটা সর্বশেষ ২০০৪ সালে ঘটেছিল। সেবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভারতীয় ওপেনাররা আউট হয়েছিলেন রান করার আগেই।