অফ স্ট্যাম্প বা তার একটু বাইরে পিচ করিয়ে আউটসুইং করাতে পারলেই পাওয়া যায় বিরাট কোহলির উইকেট। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধ্রুব সত্য হয়ে উঠেছে এটি। পর পর তিন ম্যাচে এই ধরনের ডেলিভারিতে আউট হয়েছেন তিনি। আগের দুই ম্যাচে অবশ্য রানের খাতা খুলতে পেরেছেন কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তাঁকে ফিরতে হয়েছে কোন রান না করেই!
এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠবার শূন্য রানে আউট হলেন এই ব্যাটার। সবশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত জানুয়ারি মাসে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছিলেন তিনি। আর ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মত এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর; যদিও বিশ্ব মঞ্চে কোন রান না করে আউট হওয়ার তিক্ত স্বাদ এবারই প্রথম পেলেন।
নিউইয়র্কে এদিন ১১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বরাবরের মতই এই ডানহাতিকে ওপেনিংয়ে খেলিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু সৌরভ নেত্রাভালকার তাঁকে কোন সুযোগই দেননি, দারুণ এক আউট সুইংয়ে বাধ্য করেছেন উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিতে।
ফলে স্কোরবোর্ডে কোন অবদান না রেখেই ফিরে যান কোহলি, এর ফলে টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ব্যাটিং গড় নেমে গিয়েছে পঞ্চাশের নিচে। যদিও সেটাই স্বাভাবিক, চলতি বিশ্বকাপে যেভাবে ধারাবাহিক ব্যর্থতা উপহার দিয়ে চলছেন তাতে এমনটা অনুমেয় ছিল। টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র এক রান, এবং পরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছেন চার রান।
মার্কিন মুল্লুকেই অবশ্য এই তারকার পরিসংখ্যান হতাশাজনক। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ছয় ইনিংস ব্যাট করে কেবল ৬৮ রান করেছেন। ব্যাটিং গড় স্রেফ ১১ আর স্ট্রাইক রেট ১০০ এরও নিচে। যদিও আশার কথা, এবারের বিশ্বকাপে আর কোন ম্যাচই এখানে খেলতে হবে না।
তবে কেবল ভেন্যু পরিবর্তনই যথেষ্ট নয়, আগামী ম্যাচগুলোতে হয়তো ব্যাটিং অর্ডারও বদলাতে হবে বিরাটকে। ওপেনিং পজিশন ছেড়ে হয়তো তিন নম্বরে খেলবেন তিনি, আবার চারে খেললেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। অন্তত আউটসুইংয়ে যেভাবে পরাস্ত হচ্ছেন তিনি তাতে এমন পরিকল্পনা করতেই পারে টিম ম্যানেজম্যান্ট।