অভিষেকের আগেই ছক্কা বার্তা দিয়ে রেখেছিলেন ধোনি

এই টুর্নামেন্টের পরপরই জাতীয় দলের দরজা খুলে গিয়েছিল এই কিংবদন্তি উইকেটরক্ষকের জন্য। সে বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবার আকাশী-নীল জার্সিতে মাঠে নামেন তিনি। এরপরই শুরু হয় টিম ইন্ডিয়ার নতুন এক যুগ!

হংকং ক্রিকেট সিক্সেস, নব্বই দশকের ক্রিকেটের স্বর্ণালী এক অধ্যায়। ভারতের অবশ্য লজ্জাজনক একটা রেকর্ড আছে এই টুর্নামেন্টে, ২০০৪ সালের আসরে এক ম্যাচও জিততে পারেনি তাঁরা। পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা তো বটেই; আরব আমিরাত এমনকি স্বাগতিক হংকংয়ের বিপক্ষেও পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয়েছিল তাঁদের।

তবে দলের বাকিদের ব্যর্থতার মাঝে একজন ছিলেন উজ্জ্বল, তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি। তখনও কিংবদন্তি বা ক্যাপ্টেন কুল হননি তিনি; এমনকি জাতীয় দলেও জায়গা পাননি। কিন্তু সবাইকে ছাড়িয়ে নিজেকে আলাদা করে চিনিয়েছিলেন।

বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্লে-অফ ম্যাচে এই তারকা যা করেছেন সেটা মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের। মাত্র আট বল খেলে পাঁচ ছক্কা আর একটা চার হাঁকিয়েছিলেন তিনি, সব মিলিয়ে করেছেন ৩৬ রান। না, এরপর আউট হয়ে যাননি; বরং স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরতে হয়েছিল।

টুর্নামেন্টের নিয়মানুযায়ী কোন ব্যাটার ৩৬ রান করলে আর এক বলও ব্যাটিং করতে পারবে না। এমনকি ৩১ রান করলেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হবে, তবে বাকি সব ব্যাটার আউট হলে আবার ফিরে আসে বাকি পাঁচ রান করতে পারবে।

এমন নিয়মের মার প্যাচেই সেদিন থেমে যেতে হয়েছিল ধোনিকে। মজার ব্যাপার, সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার কেবল একজনই আউট হয়েছিল এবং তাঁর উইকেট গিয়েছে ধোনির ঝুলিতেই।

পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই অবশ্য অপ্রতিরোধ্য ছিলেন এই ডান-হাতি, করেছিলেন ১১২ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ তো বটেই, আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি।

এমন পারফরম্যান্সের জন্য হয়তো না, তবে এই টুর্নামেন্টের পরপরই জাতীয় দলের দরজা খুলে গিয়েছিল এই কিংবদন্তি উইকেটরক্ষকের জন্য। সে বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবার আকাশী-নীল জার্সিতে মাঠে নামেন তিনি। এরপরই শুরু হয় টিম ইন্ডিয়ার নতুন এক যুগ!

Share via
Copy link