সাদা বলের হ্যাটট্রিক কিং

হ্যাটট্রিক যেকোন ফরম্যাটেই বোলারদের জন্য এক দারুণ কীর্তি। টানা তিন বলে তিন উইকেট নেয়াটা রীতিমত অবিশ্বাস্যও বটে। তবে এই কঠিন কাজটিও বোলাররা করে দেখিয়েছেন। কয়েকজন তো একাধিক বারও করেছেন। তবে অধিকাংশ বোলারদের কাছেই হ্যাটট্রিক এখনো অধরো এক বস্তু।

হ্যাটট্রিক যেকোন ফরম্যাটেই বোলারদের জন্য এক দারুণ কীর্তি। টানা তিন বলে তিন উইকেট নেয়াটা রীতিমত অবিশ্বাস্যও বটে। তবে এই কঠিন কাজটিও বোলাররা করে দেখিয়েছেন। কয়েকজন তো একাধিক বারও করেছেন। তবে অধিকাংশ বোলারদের কাছেই হ্যাটট্রিক এখনো অধরো এক বস্তু।

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হ্যাটট্রিকটা তুলনামূলক বেশি দেখা যায়। অনেক বোলারই এই ফরম্যাট গুলোতে হ্যাট্রটিক করেছেন। তবে সাদা বলের ক্রিকেটের এই দুই ফরম্যাটেই হ্যাটট্রিক করেছেন এমন বোলার মাত্র চারজন। তাঁদের নিয়েই খেলা ৭১ এর এই তালিকা।

  • ব্রেট লি (অস্ট্রেলিয়া) 

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল পেসারদের একজন ছিলেন ব্রেট লি। যদিও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা খুব বেশি খেলার সুযোগ পাননি এই কিংবদন্তি এই বোলার। অজিদের হয়ে খেলেছেন মাত্র ২৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে এরমধ্যেও করেছেন হ্যাটট্রিক রেকর্ড। এছাড়া ওয়ানডে ফরম্যাটেও এই কীর্তি আছে ব্রেট লি’র।

ব্রেট লি তাঁর প্রথম হ্যাটট্রিকটি করেন ২০০৩ সালে। ওয়ানডে ক্রিকেটে কেনিয়ার বিপক্ষে এই কীর্তি করেন তিনি। এছাড়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর হ্যাটট্রিক আসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০০৭ সালে। সেখানে টানা তিন বলে সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও অলোক কাপালির উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি।

  • থিসারা পেরেরা (শ্রীলঙ্কা)

থিসারা পেরেরা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে কার্যকর এক অলরাউন্ডার ছিলেন। তবে বোলিং এর চেয়ে বেশি তাঁর হিটিং এবিলিটির কারণে পরিচিত ছিলেন এই ক্রিকেটার। তবে বল হাতেও অবিস্মরণীয় সব কীর্তি করেছেন তিনি। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেই করেছেন হ্যাটট্রিক।

২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। সেই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল কলম্বোতে। এরপর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করেন ২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে। সেখানে তুলে নিয়েছিলেন হার্ডিক পান্ডেয়া, যুবরাজ সিং ও সুরেশ রায়নার উইকেট।

  • লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)

সাদা বলের ক্রিকেটে বোলিং এর কথা আসলেই তাঁর নামটা আসবে। আর সেটা যদি তাও হয় হ্যাটট্রিক নিয়ে তাহলে তো মালিঙ্গাই সেরা। হ্যাটট্রিক নেয়াতে তাঁর জুরি মেলা ভার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট ৫ বার হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। তিনবার ওয়ানডে ক্রিকেটে ও দুইবার করেছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে।

ওয়ানডে ক্রিকেটে তাঁর প্রথম হ্যাটট্রিক আসে ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরেরটা আসে কেনিয়ার বিপক্ষে ২০১১ সালে এবং তৃতীয় ওয়ানডে হ্যাটট্রিক করেন একই বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ওদিকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রথমটা আসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৭ সালে কলম্বোতে। দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকও করেছেন ওই বছরই। তবে এবার প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড।

  • ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)

চারজনের এই তালিকার তৃতীয় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। অল্প দিনেই শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছেন হাসারাঙ্গা। নিজের ওয়ানডে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন এই লেগ স্পিনার। এরপর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও এই কীর্তি করেন তিনি।

২০১৭ সালে নিজের অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচেই হ্যাটট্রিকের দেখা পান ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এই কীর্তি করেন তিনি। এবার শারজাতে প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

  • ক্যাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)

সাদা বলের দুই ফরম্যাটেই হ্যাটট্রিক করা একমাত্র বোলার হলেন ক্যাগিসো রাবাদা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনি হ্যাটট্রিক করেন ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওভারে তিনি হ্যাটট্রিক করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। যদিও, তাতেও প্রোটিয়ারা সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পারেনি।

এর আগে তিনি প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে অভিষেক ওয়ানডেতেই হ্যাটট্রিক করার কীর্তি গড়েন। ২০১৫ সালের বাংলাদেশ সফরে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি হ্যাটট্রিক-সহ নেন ছয়টি উইকেট।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...