অটনিল বার্টম্যান নামটা অনেকের কাছে অপরিচিত মনে হতে পারে। তবে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে নেমে তিনি যা করলেন এরপর হয়তো তিনি আর অপরিচিত থাকবেন না। বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামে দক্ষিন আফ্রিকা। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা।
ম্যাচের তৃতীয় ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক মার্কারাম বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অটনিল বার্টম্যানকে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন বার্টম্যান। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ওভারে বল করতে এসেই বাজিমাত করেন তিনি।
প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ব্যাটার নিসাঙ্কাকে সাজঘরে ফেরান বার্টম্যান। তার প্রথম ওভারে ব্যাট থেকে রান নিতে পারেননি শ্রীলঙ্কান ব্যাটাররা। মেইডেন ওভারে উইকেট শিকার করে শুরু করেন নিজের বিশ্বকাপ যাত্রা। যেকোন বোলারের জন্যই এক স্বপ্নের শুরু বলা যায়।
২২ জানুয়ারি ২০১৫ সালে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে বার্টম্যানের। মাত্র ১৬টি প্রথম শ্রেনীর ম্যাচে ৫০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব গড়েন তিনি। যেখানে তার বোলিং গড় ২০ এর নিচে ছিল। বার্টম্যান ৩-দিনের ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেন এবং তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ছিল ৯৫ রানের বিনিময়ে ১৪ উইকেট।
২০১৫ সালে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর বার্টম্যান ২০১৭-১৮ মৌসুমে নাইটদের স্কোয়াডে জায়গা করে নেন। স্পিডস্টার ২০১৯ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি কাপে তিনি নর্দার্ন কেপের দলের অংশ ছিলেন।
জানুয়ারি ২০২১-এ পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের জন্য তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে রাখা হলেও পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। সম্প্রতি ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বার্টম্যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গনে পা রাখেন।
বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে বার্টম্যান তার আঁটোসাটো বোলিংয়ে মাত্র ৭৭ রানে আটকে দেন শ্রীলঙ্কাকে। ৪ ওভার বল করে মাত্র ৯ রান খরচায় নিয়ে নেন পাথুম নিসাঙ্গকার উইকেট। উড়ন্ত সূচনা হয়েছে বটে। এখানেই নিশ্চয়ই থেমে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই বার্টম্যানের।