ব্যাটিং কোচ হতে পারেন এক অস্ট্রেলিয়ান

বিসিবির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগেই নতুন ব্যাটিং কোচ নিয়োগের চেষ্টা চলছে। 

ম্যাচের পর ম্যাচ ব্যাটিং বিপর্যয়ে ভুগছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে ওয়ানডে ক্রিকেটে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা নিয়েই দেখা দিয়েছে শঙ্কা। শুধু জাতীয় দল নয়, আশেপাশে থাকা বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানও ছন্দহীন—ফলেই মাথাব্যথা বেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে।

এই বাস্তবতায় দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ নিয়োগ দিতে চায় বিসিবি। আলোচনায় রয়েছেন কয়েকজন বিদেশি প্রার্থী, যার মধ্যে একজন অস্ট্রেলিয়ান কোচের নামই সবচেয়ে এগিয়ে। বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল দেশে ফেরার পরই নেওয়া হতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ দলের কোনো পূর্ণকালীন ব্যাটিং কোচ নেই। সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সাময়িকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন, তবে তার ওপর রয়েছে দলের অন্যান্য দায়িত্বও। ফলে ব্যাটিং নিয়ে আলাদা করে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে তার জন্য।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাম্প্রতিক সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের তীব্র প্রমাণ। শনিবার মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও, ব্যাটিংয়ের পুরোনো দুর্বলতা আবারও চোখে পড়েছে।

পরিসংখ্যান আরও হতাশাজনক—শেষ ৪৬ ওয়ানডেতে নেই কোনো শতরানের উদ্বোধনী জুটি, আর ওপেনারদের সেঞ্চুরি আসেনি টানা ৩৭ ম্যাচে। ওপেনিং কম্বিনেশনের ঘনঘন পরিবর্তন এখন যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। চলতি বছর ওয়ানডেতে ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন জুটি নিয়ে ১০ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এমনকি সবচেয়ে ধারাবাহিক নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটেও রান নেই।

জাতীয় দলের সর্বশেষ ব্যাটিং কোচ ছিলেন ডেভিড হেম্প। তার পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট না হয়ে বিসিবি তাকে পাঠায় হাই পারফরম্যান্স ইউনিটে। এর আগে সহকারী কোচ নিক পোথাস অস্থায়ীভাবে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব সামলান।

সবশেষ কার্যকর ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিল ম্যাকেঞ্জির নাম বলা যেতে পারে। পরবর্তীতে তার স্বদেশি অ্যাশওয়েল প্রিন্স কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেন। এরও আগে দুই দফায় দায়িত্বে ছিলেন শ্রীলঙ্কার থিলান সামারারিরা। বিসিবির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগেই নতুন ব্যাটিং কোচ নিয়োগের চেষ্টা চলছে।

Share via
Copy link