কে হবেন পাকিস্তানের পরবর্তী অধিনায়ক?

নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছে পাকিস্তান। তাই তো বড়সড় বদল আসতে যাচ্ছে দলের মধ্যে।

নেতৃত্বের ইস্যুতে পাকিস্তানের ক্রিকেটাঙ্গন এখন সরব। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার অজুহাতে বাবর আজমকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল অধিনায়কত্ব থেকে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে দুই মাস পরেই আবারো পুরনো দায়িত্বে ফেরানো হয়। যদিও ফলপ্রসূ হয়নি সেটা, উল্টো নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছে পাকিস্তান।

তাই তো আরো একবার অধিনায়কের আসনে বদল আসাটা অনিবার্য হয়ে উঠেছে। বাবরের পরিবর্তে দলপতি হওয়ার দৌড়ে এখন এগিয়ে আছেন বেশ কয়েকজন।

  • মোহাম্মদ রিজওয়ান

এক্ষেত্রে শুরুতেই বলতে হয় মোহাম্মদ রিজওয়ানের কথা। কখনো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্ব না দিলেও অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দারুণ রেকর্ড রয়েছে তাঁর। এখন পর্যন্ত ৩২টি জয়ের বিপরীতে মাত্র ১৬ ম্যাচ হেরেছেন তিনি, এর চেয়ে ভাল জয়-পরাজয়ের অনুপাত আর কারো নেই।

  • শাহীন শাহ আফ্রিদি

পুনরায় শাহীন শাহ আফ্রিদিকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেয়াটা নিশ্চিতভাবেই হাস্যকর ঠেকবে। তবে অপেক্ষাকৃত তরুণ হওয়ায় তাঁকে ঘিরে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা সম্ভব। তাছাড়া অধিনায়ক হিসেবে পিএসএলে ব্যাক টু ব্যাক শিরোপা জেতার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর।

  • শাদাব খান 

চলতি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে সহ-অধিনায়ক না থাকলেও এর আগে বিভিন্ন সময়ে সহ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন শাদাব খান। সাম্প্রতিক সময়ে বল হাতে অফ ফর্মে থাকলেও টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। তাই নেতৃত্বের জন্য তাঁকে নিয়েও চাইলে পরিকল্পনা করতে পারে টিম ম্যানেজম্যান্ট।

  • বাবর আজম

এতকিছুর পরও সবচেয়ে সেরা অপশন হতে পারেন বাবর আজম নিজেই। অল্পতেই অধিনায়ক বদলানোর চেয়ে বরং একজনের ওপর লম্বা সময় ভরসা রাখা যেকোনো দলের জন্যই ভাল। ইতোমধ্যে অনেক রদবদল হয়েছে পাকিস্তান দলে, এবার অন্তত পরিবর্তনের চেয়ে স্থিতিশীলতার দিকে নজর দিতে পারে নীতিনির্ধারকেরা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...