বিশ্বকাপ যখন দুয়ারে তখন বারবার দল নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এরই অংশ হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে পেসার হাসান আলীকে। বাদ দেওয়া হয়েছে লেগ স্পিনার উসামা মীরকে। যদিও, উসামা মীর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গেল সিরিজে ছিলেন দারুণ ফর্মে।
আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফরের জন্য দেওয়া ১৮ সদস্যের দলে আছেন হাসান আলী। ২০২২ সালের এশিয়া কাপের পর তাঁকে আর কখনওই টি-টোয়েন্টির জন্য বিবেচনা করেনি পাকিস্তান। পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল) বড় কোনো পারফরম্যান্স নেই।
তারপরও কেন হাসান আলীকে নেওয়া। ব্যাখ্যা দিলেন পাকিস্তানের নির্বাচক কমিটির অন্যতম সদস্য ওয়াহাব রিয়াজ। হাসান ইতিমধ্যেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য তাদের পরিকল্পনার অংশ ছিল, দাবি ওয়াহাব রিয়াজের। আর এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তিনি কাউন্টি ক্রিকেটের দল ওয়ারউইকশায়ারে চুক্তিবদ্ধ হন।
ওয়াহাব বলেন, ‘হাসান আলী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আগে থেকেই আমাদের পরিকল্পনায় ছিলেন। এখন কাউন্টি ক্রিকেট খেলছে। হারিস রউফের বিকল্প আমরা প্রস্তত করে রাখতে চাই। হারিস যদি ইংল্যান্ড সিরিজের আগে ফিট হয়ে যায়, তাহলে আমাদের পছন্দ সেই হবে। আমরা যদি মনে করি হারিস রউফ ম্যাচ ফিট না, তাহলে তার জায়গায় হাসান আলী দলে অন্তর্ভুক্তি হবেন।’
হারিস রউফের জন্য ইংল্যান্ড সিরিজ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে পাকিস্তান। ওয়াহাব বলেন, ‘হারিসের জন্যই আমরা বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করতে সময় নিচ্ছি। আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ পর্যন্ত তাঁর জন্য অপেক্ষা করব। তবে, এর মধ্যে আরও এক বা দুই জনের ফিটনেস পরীক্ষা করতে চাই।’
অন্যদিকে, উসামা মির বাদ পড়েছেন দলীয় কম্বিনেশনের জন্য। স্পিন বিভাগের ব্যাপারে নির্বাচক আবদুল রাজ্জাক বোলিং আক্রমণে বৈচিত্র্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলে ইতোমধ্যেই শাদাব খান আছে। আমরা একই ধরনের বোলার চাই না। সেজন্য আমরা উসামা মীরকে বাদ দিয়ে আবরার আহমেদকে বেছে নিয়েছি। তাই এখন আমাদের দলে শাদাব খান এবং একজন রহস্য স্পিনার আবরার আহমেদ আছে।’
বিশ্বকাপের জন্য একটা সম্ভাব্য দল এরই মধ্যে আইসিসি বরাবর জমা দিয়েছে পিসিবি। ২৪ মে’র মধ্যে চাইলে এই দলে পরিবর্তন আনা যাবে। বোঝাই যাচ্ছে, এই ১৮ জন থেকেই বিশ্বকাপের ১৫ জন বাছাই করবে পাকিস্তান।