পাওয়ার প্লে-তেই পরাভূত বাংলাদেশ

সমস্যার নাম যখন প্রথম পাওয়ার প্লে। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতার মূলে রয়েছে অনেক কিছুই। তবে প্রতি ম্যাচের শুরুর ধাক্কাই যে, সিংহভাগ ম্যাচে বাংলাদেশকে ছিটকে দিয়েছে তা বলাই বাহুল্য।

ব্যাটিংয়ে ইনিংসের শুরুতে প্রায় প্রতি ম্যাচেই বাংলাদেশ দ্রুত উইকেট হারিয়েছে। আর এ কারণে রানপ্রসবার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত একবারের জন্যও ৩০০-পেরোতে পারেনি বাংলাদেশ। ৩০০ দূরে থাক, সিংহভাগ ম্যাচেই ২০০ টপকাতে বেগ পেতে হয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের। 

প্রথম পাওয়ার প্লে বাংলাদেশের এ ব্যর্থতার স্বাক্ষ্য দিচ্ছে পরিসংখ্যানও। তাতে জানাচ্ছে, এখন পর্যন্ত প্রথম পাওয়ার প্লে-তে সর্বোচ্চ ১৩ টি উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বাদে যেখানে শুধু নেদারল্যান্ড দশের অধিক উইকেট হারিয়েছে, ১১ টি। 

বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডসের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯ টি উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। এ ছাড়া বাকি ৭ দলের মধ্যে প্রথম ১০ ওভারে আফগানিস্তান ৪ টি, ভারত ও নিউজিল্যান্ড ৫ টি, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা ৭ টি, আর দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান ৮ টি উইকেট হারিয়েছে। 

বাংলাদেশ শুধু এখানেই পিছিয়ে নেই। প্রথম পাওয়ার প্লে-তে সবচেয়ে কম ২০.৩৮ গড়ে রান করেছে বাংলাদেশ। আর প্রথম ১০ ওভারে রান তোলার দিক দিয়ে বাংলাদেশ রয়েছে তলানির দিকে। ১ থেকে ১০ ওভারের মাঝে বাংলাদেশ এই বিশ্বকাপে রান তুলেছে ৭৩.৬১ স্ট্রাইকরেটে। বাংলাদেশের চেয়ে কম স্ট্রাইকরেট রয়েছে শুধু একটি দলেরই, নেদারল্যান্ডস, ৬৫.৮৩। এ ছাড়া বাকি ৮ দলের একটি দলেরও পাওয়ার প্লেতে ৮০-এর নিচে স্ট্রাইকরেট নেই। 

পাওয়ার প্লে-তে বাউন্ডারি বের করার দিক দিয়েও বাংলাদেশ রয়েছে নিচের সারিতে। এখন বাংলাদেশ পাওয়ার প্লে-তে সব মিলিয়ে ৪৩ টা বাউন্ডারি বের করতে পেরেছে। যেখানে ৩৮ টা চারের পাশে ছিল ৫ টা ছক্কা। পাওয়ার প্লে-তে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বাউন্ডারি বের করার দিক দিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৫৬ টা চার ও ১৫ টা ছক্কা মিলিয়ে তাঁরা ৭১ টা বাউন্ডারি বের করতে পেরেছে। 

 

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link